দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশজুড়ে চলছে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশার কারণে মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁচেছে। বিশেষ করে নিম্নবৃত্তের অবস্থা বড়ই করুণ।
ঠাণ্ডা আর কুয়াশায় বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছে পুরো দেশ। গতকালের মতো আজও ঘন কুয়াশায় ঢেকে রয়েছে। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত সূর্যের দেখা নেই। কুয়াশায় সূর্য ঢাকা থাকায় শীতের মাত্রাটা আরো তীব্র হয়েছে। শীতবস্ত্রের বাজার নিম্নবৃত্তের কাছে আকাশচুম্বী সত্ত্বেও শীত নিবারণে চলছে শীতবস্ত্র কেনার ধূম।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও এর আশপাশের এলাকা হওয়ায় প্রচণ্ড শীত পড়ছে। তাছাড়া বাংলাদেশের আকাশে কিছু আর্দ্রতা ছড়িয়ে পড়েছে। এটা পরিমাণে এত কম যে এই আর্দ্রতা থেকে মেঘ হতে পারছে না- যে কারণে এটি কুয়াশা হয়ে ভেসে বেড়াচ্ছে। আর মেঘ না থাকলে শীতের প্রকটতাও বাড়ে।
আবহাওয়া দফতর বলছে, প্রবল বেগে বাতাস অথবা বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত এ কুয়াশা সরবে না। আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঈশ্বরদী, কুষ্টিয়া, যশোর ও শ্রীমঙ্গল অঞ্চলের উপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এসব অঞ্চলের ইতিমধ্যেই তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে।
অপরদিকে চট্টগ্রাম বিভাগের অল্প কয়েকটি অঞ্চল ছাড়া দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই তাপমাত্রা ১০ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রয়েছে। গতকাল শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া দফতর জানায়, গতকাল যশোরে ৯.৪, শ্রীমঙ্গলে ও ঈশ্বরদীতে সর্বনিম্ন ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। গতকাল রাজধানী ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অপরদিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার দিক থেকে টেকনাফ শহরে ছিল ২৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তীব্র শীতের কারণে নিম্ন আয়ের মানুষদের চরম দুর্ভোগ বেড়েছে। কারণ বর্তমানে শীতের তীব্রতা বাড়ার কারণে সারাদিনই প্রচণ্ড ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। ঘরের বাইরেও শীতের প্রকপতা থাকায় নিম্ন আয়ের মানুষ কনকনে শীতে অর্ধ শীতবস্ত্রে কাজ করছেন।