ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পদ্মা সেতু তৈরিতে বাতিল করা ঋণ চুক্তি নবায়নের কোন সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির বাংলাদেশ প্রধান অ্যালান গোল্ডস্টেইন।
ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের সদর দফতরে বসে বাংলাদেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, যে দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্বব্যাংক এ চুক্তি বাতিল করেছে তার প্রমাণ সরকারকে দেয়া হয়েছে। সেই প্রমাণ প্রকাশ করা না করা সরকারের ব্যাপার। তবে বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। পাশাপাশি কোন আন্তর্জাতিক চাপ বা প্রভাব নয়, বাংলাদেশের সঙ্গে ঋণচুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত বিশ্বব্যাংকের নিজের বলেও দাবি করেছেন তিনি।
গোল্ডস্টেইন বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পে ঋণ বাতিল করলেও বিশ্বব্যাংকের চলমান অন্য প্রকল্পগুলোতে ঋণ দেয়া অব্যাহত থাকবে। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের সম্পর্কে কোন অবনতি ঘটবে না। কিন্তু পদ্মা সেতু প্রকল্পে যে দুর্নীতির অভিযোগ বিশ্বব্যাংক করেছে, তার যথাযথ প্রমাণ বাংলাদেশ সরকারকে দেয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির প্রমাণ প্রচার করতে পারে না। এটি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। আমরা আমাদের অংশীদারদের কোন এক পক্ষের কাছ থেকে প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করেছি এবং দুর্নীতি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েই ঋণচুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
গোল্ডস্টেইন আরও জানান, বিশ্বব্যাংকের সাম্প্রতিক এ সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের উন্নয়নে কোন রকমের বাধা তৈরি হবে না। সেই সঙ্গে চলমান বা ভবিষ্যৎ কোন প্রকল্পে ঋণচুক্তি করার ক্ষেত্রেও পদ্মাসেতু প্রকল্পের অভিজ্ঞতা প্রভাব ফেলবে না বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
যদিও অর্থ ছাড় না হওয়া সত্ত্বেও কিভাবে দুর্নীতি হয়েছে, এ প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গেছেন গোল্ডস্টেইন; তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাইলে এ ব্যাপারে বিশ্বব্যাংক আবারও বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। কিন্তু সে আলোচনা কতটুকু ফলপ্রসূ হবে তা নিয়েও সন্দিহান বিশ্বব্যাংকের এ প্রভাবশালী কর্মকর্তা। কারণ বিশ্বব্যাংকের পক্ষে এখন আর পদ্মা সেতু প্রকল্পে নতুন করে বিনিয়োগ করা সম্ভব নয়। এ মনোভাব খোদ বিশ্বব্যাংক প্রধান জিম ইয়ং কিমের। খবর দৈনিক যুগান্তরের।