দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গবেষকরা এশিয়ায় একটি নতুন প্রজাতির অনন্য পাখি আবিস্কার করেছেন। গবেষকরা নতুন এই পাখিটির গোত্র তদন্ত করে দেখেছেন পাখিটি প্যাসেরিডা বর্গের মৎস্যখাদক প্রজাতি বিশেষ।
বিশ্লেষণ থেকে দেখা গিয়েছে এটি ছোট ডানাবিশিষ্ট গায়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র তিলক ধারণ করা কিচিরমিচির করা পাখি। অন্যান্য কিচিরমিচির করা পাখি থেকে এটি কিছুটা আলাদা। বিশেষজ্ঞরা বলছে এই আলাদা বৈশিষ্ট্যসুচক নির্দেশক থেকে একে Elachura গণে স্থান দেওয়া যায়। নতুন এই পাখিটি আবিস্কারের খবর প্রথম প্রকাশিত হয় রয়েল সোসাইটির বায়োলজি জার্নালে। নতুন পাখিটির বৈজ্ঞানিক নাম দেওয়া হয়েছে Elachura Formosa।
পাখিটি মাছ খেয়ে থাকে। পূর্বাঞ্চলের হিমালয়ের নিকটে দক্ষিণ চীনে এর বসবাস। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় পার্বত্য বনের ছোট ছোট ঝোপের ভেতর এটি লুকিয়ে থাকে। প্রজননের সময় পুরুষ পাখিটি স্ত্রী পাখিটিকে আকর্ষণ করার জন্য উচ্চস্বরে গান গাইতে থাকে। মহাদেশীয় অন্য পাখিগুলোর স্বর হতে এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। মাঝে মাঝে এটি ঝোপের ভেতর থেকেও গান গায়। পূর্বে পাখিটি সনাক্ত করা যায়নি কারণ এটি দেখতে প্রায় অন্যান্য কিচিরমিচির করা পাখির মত।
পাখি নিয়ে আরো পড়ুনঃ পাখিরাও গান শেখে!
বিজ্ঞানীরা পাখিটি পুরোপুরি সনাক্ত করেন ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে। ডিএনএ পরীক্ষার আণুবীক্ষণিক পার্থক্য থেকে বের হয়ে আসে নতুন প্রজাতির আলাদা বৈশিষ্ট্য। তারপর এর বংশ পরম্পরাগত বৈশিষ্ট্যগুলো সনাক্ত করতে সমর্থ হন গবেষকরা। ডিএনএ পরীক্ষার এই পদ্ধতিটির বর্তমানে ব্যাপকভাবে ব্যবহার হচ্ছে। এক্ষেত্রে বেশ ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যে নতুন এই পদ্ধতিটির মাধ্যমে অনেক পাখি আবিষ্কৃত হয়েছে। তারমধ্যে রয়েছে বিশেষ ধরণের কয়েকটি বাজপাখি।
ভিডিওঃ
http://www.youtube.com/watch?v=v-qXXmkT8Gc
আণুবীক্ষণিক অনুসন্ধানের মাধ্যমে বিভিন্ন পাখিদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। উন্মোচিত হয় নতুন ধরণের সম্পর্ক। এই পরীক্ষার মাধ্যমে পাওয়া গিয়েছে ফ্ল্যামিংগ, ডুবুরি পাখি, বাজপাখি, তোতাপাখির নতুন কিছু বৈশিষ্ট্য এবং প্রজাতি। এই নতুন প্রজাতির পাখিটি সাধারণত বাংলাদেশ, ভুটান, চীন, ভারত, লাওস, মায়ানমার, নেপাল ও ভিয়েতনামে দেখতে পাওয়া যায়।
তথ্যসূত্রঃ বিবিসি