ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সেতু এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কালভার্টের কথা আমরা বার বার তুলে ধরছি। যেগুলো যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। অথচ দেশে অপ্রয়োজনীয় খাতে কত অর্থই না ব্যয় করা হচ্ছে। আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরবো খোয়ই নদীর উপর নির্মিত সেতুর কথা। যা দীর্ঘ ৮ বছরের শেষ হয়নি!
জানা গেছে, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে খোয়াই নদীর উপর সেতু নির্মাণ কাজ দীর্ঘ ৮ বছরেও শেষ হয়নি। সেতুর উপরের ছাদ, ভিম নির্মাণ হলেও স্লোপ ও যালিং নির্মাণ এখনও হয়নি। এছাড়া উভয় পাশের সংযোগ সড়কের কাজ এখনও বাকি। নদীর পূর্বাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতের ভরসা এ সেতু। সংযোগ রাস্তা না হওয়ায় সেতুটি কোনো কাজে আসছে না। ওই এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন চুনারুঘাট উপজেলায় খোয়াই নদীর ওপর কাজীরখিল নামক স্থানে একটি সেতু নির্মাণ। দীর্ঘদিনেও কাজ শেষ না হওয়ায় মানুষের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
ভারত থেকে প্রবাহিত হয়ে খোয়াই নদীটি উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের জনসাধারণকে দু’ভাগে বিভক্ত করে রেখেছিল। এলাকাবাসীর কাছে নদীর পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল বলে পরিচিত হয়ে আছে। সেতুটি নির্মাণ হলে পূর্বাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের ক্ষেত্রে আশার সঞ্চার হবে। যোগাযোগের ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটবে ব্যাপক। স্থানীয় এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালে উপজেলার শ্রীকুটা-মুরারবন্দ সড়কের কাজীরখিল নামক স্থানে খোয়াই নদীর উপরে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সেতু নির্মাণের মাত্র দুটি স্প্যান নির্মাণ হওয়ার পর অজ্ঞাত কারণে হঠাৎ সেতুর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১০ সালের প্রথমদিকে ঢাকার মেসার্স আজাদ অ্যান্ড ব্রাদার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পুনরায় ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা দরপত্র গ্রহণ করে কাজ শুরু করে।
ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতুর কাজ শেষ পর্যায়ে নিয়ে এলেও স্লোপিং ও যালিংয়ের কাজ বাকি থাকায় যান চলাচলের জন্য সেতু খুলে দেয়া হয়নি। ফলে পূর্বাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ দিন দিন বেড়েই চলছে। প্রকৌশলী কিরণ চন্দ্র দেব বলেন, প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে খোয়াই নদীর ওপর এ সেতুটির নির্মাণ কাজ হাতে নেয়া হয়। আগের ঠিকাদারের অর্থ ব্যয়ের হিসাব জানা নেই। তবে ধারণা করা হচ্ছে দেড় কোটি টাকার টেন্ডারে এ কাজ শুরু হয়েছিল। বর্তমান মেসার্স আজাদ অ্যান্ড ব্রাদার্স ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণের কাজ করে যাচ্ছে।
কাজ শেষ হলেই সেতুটি উদ্বোধন করা হবে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ লিয়াকত হাসান বলেন, চারদলীয় জোট সরকার সেতুর কাজ শুরু করেছিল। বর্তমান সরকার সেতুর বাকি কাজ দ্রুত শেষ করে জনসাধারণের জন্য খুলে দেবেন বলে তিনি আশা করছেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সেতুর কাজ সমাপ্ত হলে উপজেলার পার্শ্ববর্তী উপজেলা বাহুবলের দক্ষিণ অঞ্চলের ২টি ইউনিয়ন, পারকুল চা-বাগান, শ্রী-বাড়ি চা-বাগান, দারাগাঁও চা-বাগান, হাতিমারা চা-বাগান, ৮নং সাটিয়াজুরি, ৯ নং রানীগাঁও, ১০ নং মিরাশী ইউনিয়নের জনসাধারণের যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন দ্বার উন্মোচন হবে।
এছাড়া ওই এলাকার উৎপাদিত কৃষি পণ্য জেলাসদর, উপজেলা শহর ও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে নিয়ে ক্রয়-বিক্রয় করা সহজতর হবে। এতে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য পাওয়ার পাশাপাশি যোগাযোগবঞ্চিত পূর্বাঞ্চলের ৩টি ইউনিয়নের মানুষ যোগাযোগের ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে। বিধায় এই সেতুটির কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর)…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সদস্যদের জন্য…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৩ স্ত্রী, ২ বান্ধবী, ১০ সন্তানকে নিয়ে সংসার বেকার যুবকের!…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ২০ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণতভাবে দেখা যায়, বেশিরভাগ মহিলা রক্তাল্পতার ঝুঁকিতেই ভোগেন। পিরিয়ডের সময়…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ খুব শীঘ্রই মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়ার ঝামেলার অবসান ঘটতে চলেছে।…
View Comments
rrntoi Thank you ever so for you article post.Much thanks again. Fantastic.
Wow! This can be one particular of the most useful blogs We have ever arrive across on this subject. Basically Fantastic. I'm also a specialist in this topic so I can understand your effort.