দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শসা আমাদের দেশে এক অতিপরিচিত সবজি। শসা এক প্রকারের ফল যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সালাদ হিসেবে খাওয়া হয়। আমাদের দেশে গরমকালে প্রচুর পরিমাণে শসা পাওয়া যায়। শসাতে ক্যালরির পরিমাণ কম কিন্তু জলের পরিমাণ বেশি। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শসার অনেকগুলো উপকারি দিক রয়েছে।
পাঠকদের জন্য শসার বিভিন্ন উপকারি দিক তুলে ধরা হলো। শুধু সবজি বা সালাদ হিসেবে নয় স্বাস্থ্য রক্ষায় শসার আরো অনেক উপকারি দিক রয়েছে।
১. শরীর থেকে জল হারানো রক্ষা করে
আপনি যদি যথেষ্ট ব্যস্ত থাকার কারণে পানি পান করতে না পারেন তবে কিছু ঠাণ্ডা শসা চিবাতে থাকুন এটি আপনার পানির চাহিদা পূরণ করবে। কারণ শসাতে রয়েছে প্রায় ৯৬ শতাংশ পানি।
২. ভেতরে এবং বাইরে তাপের সাথে যুদ্ধ করবে
শসা খেতে থাকুন তা আপনার শরীরকে তাপীয় জ্বালাপোড়া থেকে রক্ষা করবে। শসাকে আপনার ত্বকে প্রয়োগ করুন এটি সূর্যের তাপে পোড়া থেকে আপনার ত্বককে রক্ষা করবে।
৩. শারীরিক বিষক্রিয়া দূর করা
শসার জল আপনার শরীর থেকে বিষাক্ত বর্জ্য দূর করতে সাহায্য করে। এটি অনেকটা ভার্চুয়াল ঝাড়ুর মতো কাজ করে। এছাড়াও শসা কিডনীর পাথরকে দ্রবীভূত করে।
৪. ভিটামিনের মুক্তহস্ত
শসায় থাকা ভিটামিন এ, বি, সি যা যথাক্রমে আপনাকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, শক্তিবর্ধক এবং প্রাণচাঞ্চল্য রাখবে। আরো বেশি শক্তি পেতে শসার সাথে গাঁজর মিশিয়ে শরবত খেতে পারেন।
৫. খনিজ সরবরাহ
শসায় থাকা ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও সিলিকন আপনার ত্বকে খনিজ পদার্থ সরবরাহ করবে।
৬. ওজন কমানোর সবচেয়ে কার্যকরী উপায়
যারা ওজন কমাতে চাচ্ছেন তারা সালাদ ও স্যুপ হিসেবে শসা খেতে পারেন। কারণ ওজন কমানোর জন্য শসা সবচেয়ে কার্যকর পন্থা।
৭. ক্যান্সার থেকে মুক্তি
চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, শসা বিভিন্ন উপাদান অস্বাভাবিক কোষবৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। অস্বাভাবিক কোষবৃদ্ধি থেকেই ক্যান্সার কোষের সৃষ্টি হয়।
৮. ব্লাড প্রেসারকে সুস্থিত রাখে
উচ্চ ও নিম্ন রক্তচাপে যারা ভুগছেন তাদের সকলের জন্যই ভালো কার্যকর উপায় হতে পারে শসা। কারণ এটি রক্তচাপকে সুস্থিত রাখে।
৯. হজমে সাহায্য করা
খাবারের পর শসা চিবাতে থাকলে এটি আপনার খাবারকে দ্রুত হজমে সাহায্য করবে। এর খাদ্য ফাইবার উপাদান খাবারের হজমে সাহায্য করে।
১০. ডায়াবেটিসের জন্য ভালো
শসা একধরনের হরমোন বহন করে যা প্যাঙ্ক্রিয়াসে ইনসুলিন তৈরিতে সাহায্য করে থাকে। ফলে শসা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো একটি সাহায্যকারী উপাদান হতে পারে।
১১. কোলেস্টোরল মুক্ত হতে
শসায় রয়েছে স্টেরল নামক একপ্রকার উপাদান যা শরীরের কোলেস্টোরল মুক্ত হতে সাহায্য করে থাকে।
এছাড়াও শসা চোখের উপর দিয়ে রাখলে চোখের ফোলাভাব কিংবা চোখের নিচের কালো দাগ দূর করে। শসার শরবত পানে মুখের ভেতরের জীবাণু দূর করে মুখের হাসিকে রাখে দুর্গন্ধমুক্ত এবং নিয়মিত শসা খেলে শরীরের সন্ধিযুক্ত ব্যাথা যা বাতের ব্যাথা হিসেবে বেশি পরিচিত তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
তথ্যসূত্রঃ কেয়ারটু