The Dhaka Times
তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে রাখার প্রত্যয়ে, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সামাজিক ম্যাগাজিন।

redporn sex videos porn movies black cock girl in blue bikini blowjobs in pov and wanks off.

ত্রাণ ও পুনর্বাসনে বরাদ্দের বিপুল অঙ্ক ব্যয় হয় কালভার্ট নির্মাণে ॥ কাজে আসে না অনেক ক্ষেত্রেই ॥ রাস্তা নাই তাই কালভার্টে যেতে নৌকা লাগে!

দি ঢাকা টাইমস্‌ ডেস্ক ॥ ব্যয় হচ্ছে অথচ সেগুলো পুরোপুরি কাজে আসছে না- এমন ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে কম নয়। ত্রাণ ও পুনর্বাসনে বরাদ্দের বিপুল অঙ্ক ব্যয় হয় এইসব কালভার্ট নির্মাণে অথচ সংযোগ সড়ক না থাকায় সেগুলো কাজে আসে না।
ত্রাণ ও পুনর্বাসনে বরাদ্দের বিপুল অঙ্ক ব্যয় হয় কালভার্ট নির্মাণে ॥ কাজে আসে না অনেক ক্ষেত্রেই ॥ রাস্তা নাই তাই কালভার্টে যেতে নৌকা লাগে! 1
দুস্থ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য এবং উন্নয়ন ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তরের মূল দায়িত্ব হলেও প্রতিবছর এডিপি থেকে তাদের জন্য বরাদ্দের বড় একটি অংশ ব্যয় হয় কালভার্ট নির্মাণে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে প্রায় ৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৬৫টি, ২০১০-১১ অর্থবছরে প্রায় ৮৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৭০টি এবং ২০১১-১২ অর্থবছরে প্রায় ১৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৮০টি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। এত কালভার্ট নির্মাণের পরও প্রতিবছর এ বাবদ বরাদ্দ বাড়ছে।

সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার বিভাগ সারা দেশে রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ করলেও ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তরকে দিয়ে কালভার্ট নির্মাণ করানো হচ্ছে কোনো বিভাগীয় বা মন্ত্রণালয়গত সমন্বয় ছাড়াই। সর্বোচ্চ ১২ মিটার লম্বা ও স্বল্প উচ্চতার এসব কালভার্ট বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পানিপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করছে। আবার যেখানে এ মুহূর্তে রাস্তা হওয়ার সম্ভাবনা নেই, সেখানেও তৈরি করা হচ্ছে কালভার্ট। বর্ষার সময় অনেক কালভার্টই পানিতে তলিয়ে যায়!

অভিযোগ রয়েছে, মানুষের প্রয়োজনের চেয়ে সরকারি বরাদ্দ খরচের কথাই বেশি মাথায় রাখেন এ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ঠিকাদার ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তা- সবাই লাভবান হন।

রাজধানীর নিম্নাঞ্চলগুলোতে এমন অনেক কালভার্ট চোখে পড়ে। সরেজমিন অনুসন্ধানের সময় হাজারীবাগ স্লুইসগেটের পাশে কামরাঙ্গীরচরে পানিতে ডুবুডুবু অবস্থায় একটি কালভার্টের দেখা মেলে। প্রায় পাঁচ বছর আগে এটি নির্মিত হলেও, কেন নির্মাণ করা হয়েছে তা জানে না এলাকাবাসী। এই পাঁচ বছরে কালভার্ট ধরে কোনো রাস্তাও নির্মাণ করা হয়নি। কালভার্টে যেতে নৌকা লাগে!

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, যখন কালভার্টটি নির্মিত হয়েছে তখনো এখানে পানি ছিল। পানির মধ্যে মাটি ফেলে এটি বানানো হয়। তবে কেন এটি বানানো হয়েছে, কেও জানে না। এলাকার লোকজন মাঝেমধ্যে নৌকায় করে ওই কালভার্টে গিয়ে সময় কাটায়!

কামরাঙ্গীরচরের পূর্ব রসুলপুর ও নবাবগঞ্জের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া একটি খালের ওপর আরেকটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। ছয় বছর ধরে এটি নির্মিত হলেও দুই পাশের মাত্র ৪০ ফুট সংযোগ সড়ক এখন পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়নি। লোকজন বাঁশের সাঁকোর মাধ্যমে কালভার্টের ওপর দিয়ে খালটি পার হয়। আবার অনেকে নৌকায় করেও পার হয়। মালামাল নিয়ে পার হতে গেলে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিমত, কালভার্ট যারা নির্মাণ করেছে তারাই সংযোগ সড়ক করে দিলে লোকজনকে এত দুর্ভোগে পড়তে হতো না। কিন্তু ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ওই স্থানে সংযোগ সড়ক করার বাজেট নেই।

হাজারীবাগের বটতলা মাজারের গলিতেও রয়েছে একটি কালভার্ট। তবে কালভার্ট একদিকে, রাস্তা আরেক দিকে। এটি কেন তৈরি করা হয়েছে, কেও বলতে পারে না। কারণ এখানে কোনো খালের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে অনেক আগে সেখানে একটি পুকুর ছিল বলে এলাকাবাসী জানায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, ৬/৭ বছর ধরে কালভার্টটি দেখছি। তবে নির্মাণের পর এটির ওপর দিয়ে কেও চলাচল করেনি। আগে তো এখান দিয়ে কোনো রাস্তাই ছিল না। রাস্তা যখন হয়, তখন কালভার্টের নিচে মাটি দিয়ে ভরে ফেলা হয়েছে।

কামরাঙ্গীরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রশীদ বলেন, আমার এলাকায় যেসব অব্যবহৃত কালভার্ট আছে সেসব সাবেক চেয়ারম্যানের আমলে হয়েছে। কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই এগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। তাই ব্যবহার করা যাচ্ছে না। হাজারীবাগ স্লুইস গেটের পাশের কালভার্টটি যখন তৈরি করা হয়েছিল, তখন সেখানে ছোট্ট একটি খাল ছিল। কিন্তু এখন খালটি মৃতপ্রায়। চিন্তা করা হয়েছিল, কালভার্টটি হলে সেখানে রাস্তা হবে। কিন্তু পাঁচ বছরেও রাস্তার জন্য বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। আর রসুলবাগের কালভার্টের সংযোগ সড়ক শিগগিরই করা হবে।

রাজধানীর মানিকদিয়া, দক্ষিণখান, সবুজবাগ, বাড্ডা, নাসিরাবাদেও একই ধরনের প্রায় ৩০টি অচল কালভার্ট রয়েছে। সারা দেশে এ ধরনের কালভার্টের সংখ্যা কয়েক হাজার হবে। গ্রামাঞ্চলে বর্ষার সময় ছোট কালভার্টের ভেতর দিয়ে পানি ঠিকমতো চলতে পারে না। সূত্র জানায়, গ্রামবাসী অনেক সময় এগুলো ভেঙে ফেলে। আবার বেশ কিছু মাটি দিয়ে ভরাট করে ফেলা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ুিার-উল-আলম বলেন, কালভার্ট করতে হলে অবশ্যই রাস্তা থাকতে হবে। যে স্থানে কালভার্ট নির্মিত হবে, সেখানে গিয়ে পানির চাপ ও প্রবাহ বিবেচনা করে নকশা প্রণয়ন করতে হবে। স্থানভেদে কালভার্টের উচ্চতা ও প্রশস্থতা কম-বেশি হতে পারে। অন্ততপক্ষে ৫০ বছরের কথা চিন্তা করে তা নির্মাণ করতে হবে। ভবিষ্যতে কী হতে পারে সেটা চিন্তা না করলে কয়েক বছর পর ওই কালভার্ট কোনো কাজে আসবে না। তিনি বলেন, ইদানীং যেখানে-সেখানে কালভার্ট নির্মিত হচ্ছে। পরিকল্পনা ছাড়া এগুলো নির্মিত হওয়ায় জলাবদ্ধতা বাড়ছে। এগুলো করার চেয়ে না করাই ভালো।

সূত্র জানায়, ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তর গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণ ও রাস্তাঘাট সংস্কার প্রকল্পের আওতায় কালভার্ট নির্মাণ করে। এ জন্য উপজেলা পর্যায়ে প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কমিটি রয়েছে। এ কমিটির প্রধান স্থানীয় সংসদ সদস্য। উপজেলা চেয়ারম্যন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা কমিটির সদস্য। কমিটি কালভার্ট নির্মাণের জায়গা নির্বাচন করে ত্রাণ অধিদপ্তরকে জানায়। অধিদপ্তরের প্রকৌশলীরা জনপ্রতিনিধির প্রস্তাবিত জায়গায় কালভার্ট নির্মাণের জন্য নকশা প্রণয়ন করেন। এরপর দরপত্র আহ্‌বান করে নির্বাচিত ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পানি ও বন্যা গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. শাহ্‌ আলম খান বলেন, ছোট ও কম উচ্চতার কালভার্ট প্রবহমান খালে নির্মিত হলে ওই খালে নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আশপাশের এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। জলাভূমি ও পরিবেশের ক্ষতি করে কালভার্ট নির্মাণ করা উচিত নয়।

ড. আলম বলেন, আমাদের পদ্ধতিগত ভুল রয়েছে। কমিউনিটি থেকে খুঁজে বের করতে হবে কোনটা এলজিইডি এবং কোনটা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তর করবে। সে অনুযায়ী নকশা করতে হবে। অবশ্যই সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে এবং সেটা স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে করতে হবে।

এই যদি অবস্থা হয় তাহলে দেশের উন্নয়ন হবে কিভাবে? যেখানে বাংলাদেশের গ্রামে-গঞ্জে অর্থের অভাবে কোন কিছুই করা যায় না, সেখানে অপ্রয়োজনীয় স্থানে কালভার্ট নির্মাণ করে এতো অর্থের অপচয় কতখানি যুক্তিযুক্ত তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভেবে দেখবেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো
Loading...
sex không che
mms desi
wwwxxx
bn_BDBengali