দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ডিম ছাড়ার মৌসুম হওয়ায় এই সময়টা ইলিশ ধরা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়। এবারও তাই করা হয়েছে। ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত সব রকম ইলিশ মাছ ধরা, বাজারজাত, বিক্রি ও সংরক্ষণ নিষিদ্ধ করা হলেও বাজারে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ মাছ।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, পূর্বের মতই বিক্রি হচ্ছে ইলিশ মাছ। এমনও দেখা গেছে যে, ডিম ভর্তি মাছও বিক্রি হচ্ছে। অথচ এই ১১ দিন মাছ শুধু মারা নয়, বিক্রিও নিষিদ্ধ। সামপ্রতিক সময়ে ইলিশের ক্রাইসিসের কারণে দেশ থেকে ইলিশ রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়। মৎস্য অধিদপ্তর ইলিশের আমদানি বৃদ্ধির নানা কৌশল অবলম্বন করে। সেই মোতাবেক বাজারে ইলিশ আমদানি বেশ বেড়ে যায় এবং দামও সহনীয় হয়ে আসে। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে চলে আসে। বিশেষ করে ছোট সাইজের মাছের দাম বেশ কমে আসে। যেমন বড় (এক কেজি ওজনের) ইলিশ ৭ থেকে ৯ শ’ টাকায় এবং ছোট (২৫০ হতে ৫০০ গ্রামের) ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৩৫০-৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। নিম্ম মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ক্রয় সীমার মধ্যে এসেছে। বর্তমানে মাছের দাম গত এক সপ্তাহের তুলনায় একটু বেশি হলেও বাজারে বিক্রি হচ্ছে দেদারছে। এখন ডিমের মৌসুম। এসময় মাছ মারা রোধ করা গেলে দেশে ইলিশের সংখ্যা কোটি কোটি বৃদ্ধি পাবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা নিজস্বার্থে দেশের এই সম্পদকে নষ্ট করতে চাচ্ছে।
এ ব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কঠোর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। কারণ একমাত্র তারাই পারে কঠোর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে নিষিদ্ধ ঘোষিত এই কর্মকাণ্ড রোধ করতে। তা না হলে গেল বছরের মতো এবারও ইলিশ মাছ চোখে দেখা যাবে না।