দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গুম হওয়া নারায়নগঞ্জের প্যানেল মেয়রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে শীতলক্ষ্মা নদী থেকে। আজ বিকেলে শীতলক্ষ্মা নদী থেকে ৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধারকৃত লাশের মধ্যে গুম হওয়া নারায়নগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম লাশ উদ্ধার করা হয়। চর ধলেশ্বরী থেকে ৫টি লাশ উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে নজরুল ইসলামকে শনাক্ত করা হয়।
এদিকে এই উদ্ধার অভিযানের কারণে যাত্রাবাড়ী থেকে কাঁচপুর ব্রিজ পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সর্বশেষ আপডেট নিউজ
সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, ৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। হাত-পা বাঁধা অবস্থায় নিখোঁজ প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করা হয় শীতলক্ষ্যা নদী থেকে। আজ বুধবার দুপুরের দিকে লাশ নদীতে ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ প্রথমে ৩টি লাশ উদ্ধার করে। এর মধ্যে নজরুল ইসলামের লাশ শনাক্ত করা হয়। পরে পর্যায়ক্রমে আরও ৩টি মোট ৬টি লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের পরিচয়ও মিলেছে।
প্যানেল মেয়র নজরুলের ভাই আব্দুস সালাম এবং স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি নজরুলের লাশ শনাক্ত করেছেন। এছাড়া নজরুলের সঙ্গেই অপহৃত স্বপনের লাশ তার ছোট ভাই রিপন শনাক্ত করেন। অপর অপহৃত তাজুল ইসলামের লাশ তার বোন শিরীন আক্তার শনাক্ত করেছেন। অপহৃত আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারের লাশ এবং গাড়িচালক ইব্রাহিমের লাশও শনাক্ত করা হয়। লাশগুলো ছিল অর্ধগলিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
মহাসড়কে অবরোধ-ভাংচুর
এদিকে লাশ উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়লে নজরুল ইসলামের সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে সাইনবোর্ড এলাকায় গাড়ি ভাংচুর করে। উত্তেজিত জনগণ ওই এলাকার একটি পেট্রোল পাম্পে হামলা চালায়। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে।
উল্লেখ্য, ২৭ এপ্রিল রবিবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ ৫জনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। একইদিন আদালত পাড়া হতে আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ২ জনকে অপহরণ করা হয়।