দি ঢাকা টাইমস ডেস্ক ॥ আজ আমরা বিশ্বের বিভিন্ন মজার মজার খবর আপনাদের সামনে তুলে ধরবো- আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আশ্চর্যজনক সামুদ্রিক গুহা:
এ সামুদ্রিক গুহাগুলো বিশ্বের বিভিন্ন সমুদ্রে পানির নিচে ছড়িয়ে আছে। প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট এসব গুহা দেখতে যেমন অদ্ভুত তেমনি এর গঠনশৈলী দেখার মতো। প্রকৃতি যে কতবড় শিল্পী এ গুহাগুলো দেখলে বুঝতে পারা যায়।
ব্লু হোল ডেন
এটি বাহামিয়ান লং আইল্যান্ডে অবস্থিত। এটি বিশ্বের গভীরতম গোল মুখবিশিষ্ট গুহা। এর গভীরতা ২০০ মিটার। এ গুহার মুখটি পানির ওপরের পৃষ্ঠ থেকে একটু নিচে। অনেক ওপর থেকে এ মুখটি দেখতে খুব সুন্দর দেখায়।
সমো গুহা
এটি স্কটল্যান্ডের আর একটি বিখ্যাত গুহা। এটি চুনা পাথরের তৈরি একটি গুহা। এ গুহাটি অল্টসমো নদীর দ্বারা তৈরি। এ নদীর পানি গুহার ছোট একটি মুখ দিয়ে জলপ্রপাতের মতো ভেতরে ঢোকে। দর্শনার্থীদের জন্য দৃশ্যটি খুবই মনোহর। এ গুহার পানি লবণাক্ত এবং গুহাটি মহাসাগরীয় লবণাক্ত পানির মাধ্যমে ক্ষয়প্রাপ্ত।
পাউলা গুহা
এটি সামোয়ান দ্বীপের কাছে উপলো দ্বীপে অবস্থিত। এ গুহাটি একটি ছোট পুকুরের মাঝে লাভা জমে ঠাণ্ডা হয়ে এ গুহার সৃষ্টি হয়। এ গুহাটি অনেকদূর গিয়ে সাগরের সঙ্গে মিশেছে। এটি পর্যটকদের সাঁতারের জন্য খুব সুন্দর একটি স্থান। এ সামুদ্রিক গুহাটি সামুদ্রিক ইকো-বৈচিত্র্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
বরফ গুহা
এ গুহাটি অ্যাপোস্টেল দ্বীপ আমেরিকার উইসকনসিনে লেক সুপিরিয়রে অবস্থিত।
শীতের সময় এ হ্রদ এবং এ গুহার ভেতরে পানি জমে বরফ হয়ে যায়। তখন গুহার ভেতরের দেয়াল এবং ছাদ থেকে বিভিন্ন আকারের বরফের দণ্ড ঝুলে থাকে। আর নিচে বরফ জমে একটি স্তর তৈরি করে। এটি পর্যটকদের কাছে খুব আর্কষণীয়। এ বরফের ওপর তারা স্কেটিং করে।
সুরের গুহা
এর অবস্থান স্কটল্যান্ডের পশ্চিম উপকূলের মানব বসতিহীন দ্বীপ স্টাফার পাশে। সুরের গুহা নামটি গ্যালিক নাম ‘উয়াম বিন ফিঙ্গএলস’ থেকে অনুবাদ করা। এ ফিঙ্গএলস গুহাটিই সুরের গুহা নামে পরিচিত। এ গুহাটি চটকদার ষড়ভুজ আকৃতির ব্যাসাল্ট পাথর থেকে গঠিত। দেখলে মনে হয় এটি মানুষের তৈরি। আগ্নেয়গিরির লাভা প্রবাহ সমুদ্রের পানির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় এ লাভা ঠাণ্ডা হয়ে এ রকম আকৃতি ধারণ করে। এ লাভা প্রবাহ শুধু এ গুহা নয় স্কটল্যান্ডের আশ্চর্যজনক জায়ান্ট কজওয়ে তৈরি করে। এ গুহার ভেতরের গঠন এমন যে, এর ভেতর দিয়ে যখন বাতাস চলাচল করে তখন এ গুহা থেকে অদ্ভুত শব্দ বের হয় যার কারণে এর নাম সুরের গুহা।
গ্রেট ব্লু হোল
এটি বেলিজে অবস্থিত। এটি একটি বেসিন গর্ত এবং এর মুখ আগে ওপরে ছিল। এটি ওপর থেকে দেখতে খুব সুন্দর দেখায়। গুহাটির চারদিক প্রবাল প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত।
সি লায়ন গুহা
এ গুহাটি ব্যাসল্ট পাথরের তৈরি। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অরিগন অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত।
এ গুহার ভেতর প্রচুর সি লায়ন বাস করে, যার কারণে এ নামকরণ। এ গুহাটি একটি প্রধান সড়কের নিচে অবস্থিত। এ গুহার ভেতরে পর্যটকদের যাওয়ার জন্য সিড়ি তৈরি করা হয়েছে।
আলোফাগা ব্লো হোলস
এটি ঠিক সামুদ্রিক গুহার মতো নয়। এটি আসলে আগ্নেয়শীলা দ্বারা তৈরি পানির নিচে একটি গুহা এবং সমুদ্রের পাড়ে এ গুহার অনেকগুলো মুখ আছে যা ছড়ানো অবস্থায় থাকে। সমুদ্রের পানি প্রচণ্ড বেগে যখন এ গুহার ভেতর ঢোকে তখন এর সঙ্গে যে বাতাস ঢোকে সেই বাতাস প্রচণ্ড গরম হয়ে যায় এবং পানিকে প্রচণ্ড বেগে ধাক্কা দেয়। তখন এ পানি ওপরে থাকা ছোট গর্ত দিয়ে ঝরনার মতো ছিটকে অনেক দূর পর্যন্ত উঠে যায়। হঠাৎ দেখলে মনে হবে উষ্ণ প্রসবন। এটি দক্ষিণ প্যাসেফিকে স্যামন দ্বীপে অবস্থিত।