দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঈদ এসেছে। তাও অন্য কোন ঈদ নয় কোরবানির ঈদ। গরু-খাসি জবাই এবং মাংস বানানো। শহরের মানুষদের আরেক বিড়ম্বনা মাংস বানানো। রাজধানীরবাসির জন্য তাইতো কোরবানির মাংসের জন্য কসাইদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হচ্ছে। আর এই সুযোগে কসাইরাও হাকছেন চড়া মজুরি।
মফস্বলের মানুষরা কোরবানি করতে কসাইয়ের স্মরণাপন্ন হন না। কারণ সেখানে বাড়ি বা বাড়ির আশপাশের আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে কোরবানি করে থাকেন। সেক্ষেত্রে কোরবানির গরু-খাসির মাংস বানানোর জন্য আলাদা কসাইয়ের প্রয়োজন পড়ে না। সবাই হাতে হাতে মাংস বানানোর কাজটি করে থাকেন। কিন্তু শহরের মানুষদের বিশেষ করে রাজধানী ঢাকাতে যারা বসবাস করছেন তাদের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে এক মহা বিড়ম্বনা!
গরু কেনা এক ঝামেলা তারওপর রয়েছে কসাই নিয়ে আরেক ঝামেলা। গরু কেনার পর তাইতো রাজধানীবাসীদের আরেক বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। কসাইয়ের জন্য ঘুরতে হচ্ছে মহল্লায় মহল্লায়। কসাই নাই। যাদের একটু অভিজ্ঞতা রয়েছে গরু বানানোর তাদের এখন পোয়া বারো। খুঁজেও তাদের পাওয়া যাচ্ছে না। আবার অনেক খোঁজাখুঁজির পর যদিও বা দু’এক জনের দেখা মিলছে দাম হাঁকছেন চড়া! হাজারে আড়াই শ’ বা ৩শ’ টাকা! আর সেই হিসেবে যদি এক লাখ টাকা একটি গরুর দাম হয় তাহলে তাকে দিতে হবে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। তাও তাদের পছন্দ মতো সময় গরু বানাবেন। অর্থাৎ অন্য জায়গায় কাজ করে পছন্দ মতো সময় এসে গরু বানানোর কাজ করবেন। সকালে গরু জবাই দিয়ে দুপুর বা বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে কসাইয়ের জন্য!
নগরবাসীর এই বিড়ম্বনার কোন কুল-কিনারা নেই। নাই কোন নীতিমালা। যার যেমন খুশি তেমন মূল্য হাকছেন।