দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গাঁজায় ইসরাইলের নৃশংস হামলায় রেহাই পাচ্ছে না গাজার শিশু, বৃদ্ধ, নারী, সাংবাদিক। রক্তে ভিজে যাচ্ছে মাটি। স্বজন হারানো মানুষ ও আহতদের আর্তনাদে বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। অথচ বিশ্ববাসী অবাক দৃষ্টিতে শুধু চেয়ে আছে!
ন্যাক্কারজনক হামলার নিন্দা জানিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন মহল ও দেশ। নিন্দা জানিয়েছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস। নিন্দা জানিয়েছে রেডক্রস। গাজার নিরীহ মানুষ হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছেন আমস্টারডার্মের রাবি জোসেফ আন্তাবি। ইসরাইলের বিমান হামলায় আরও ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ নিয়ে ষষ্ঠ দিনের হামলায় ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা ৮৭ জনে দাঁড়িয়েছে। খবর অনলাইন দৈনিকের।
এদিকে দু’পক্ষের মধ্যকার লড়াই বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন। অস্ত্রবিরতি কার্যকর করতে বিভিন্ন নেতৃবৃন্দও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। হাসপাতালে এবং ফিলিস্তিনের নিরাপত্তা সূত্রে জানা গেছে, ১৮ নভেম্বর রাতের বিমান হামলা এবং নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে অব্যাহতভাবে গোলা নিক্ষেপের ফলেই গতকাল ১৯ নভেম্বর ১০ জনের মৃত্যু ঘটেছে। নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে নিক্ষেপ করা গোলার আঘাতে একটি পুলিশ স্টেশনও ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরাইলের সেনাবাহিনী গতকাল ১৯ নভেম্বর সকালে বলেছে, ১৮ নভেম্বর রাতে তারা হামাসের পুলিশ হেডকোয়ার্টারসহ কমপক্ষে ৮০১টি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। এর ফলে হামাসের ১৩৫০টি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
এক সামরিক মুখপাত্র জানিয়েছে, গাজা থেকে ১৮ নভেম্বর রাতে কোন রকেট নিক্ষেপ করা হয়নি। অবশ্য ১৯ নভেম্বর ভোরের দিকে দুটি রকেট বিস্ফোরিত হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন। ১৯ নভেম্বর নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে দু’জন কৃষক এবং একই পরিবারের তিন ব্যক্তি রয়েছে। এছাড়া গাজা শহরের জইতুন এলাকায় নিহত চার জনের মধ্যে দুই নারী এবং একটি শিশু রয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন অস্ত্রবিরতিতে উপনীত হতে ইসরাইল এবং হামাসকে মিশরের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। সে সঙ্গে তিনি ইসরাইল ও গাজার পাল্টাপাল্টি হামলা বন্ধে আশু পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। ১৮ নভেম্বর এক বিবৃতিতে ইসরাইল-গাজা লড়াই বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে কূটনৈতিক তৎপরতার প্রতিও জোর সমর্থন জানান। এই তৎপরতায় যুক্ত হতে তিনি কায়রো যাবেন বলেও জানিয়েছেন। ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ জানানো হয়েছে ২১ নভেম্বর তিনি কায়রো যেতে পারেন।