দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সামনেই ঈদ। আর তাই ঈদের জন্য ব্যস্ত টিভি-সিনেমা প্রযোজনা সংস্থাগুলো। ছবি বা নাটকের ডাবিংসহ আনুষাঙ্গিক কাজে চরম ব্যস্ত সময় পার করছে এসব প্রয়োজন সংস্থাগুলো।
সারাবছর ব্যস্ত থাকলেও ঈদ আসলে বিশেষ করে রমজানের ঈদে এই ব্যস্ততা বেশি থাকে নাটক বা সিনেমার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের। গত দু’তিন মাস যাবত বেশি ব্যস্ততায় ছিলেন অভিনেতা-অভিনে্ত্রীরা। তারা বিভিন্ন টিভি নাটক ও সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু এখন তাদের ব্যস্ততার বিষয়টি বেশিরভাগ এসে দাঁড়িয়েছে ডাবিং ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের। শুটিংকৃত নাটকটি মূলত ডাবিং ও সম্পাদনা হয় শেষের দিকে। আর তাই ব্যস্ত সময় পার করছেন এসব ডাবিং বা সম্পাদনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। দিন আর রাত তাদের কাছে এখন একাকার।
সঠিক সময়ে নাটক বা সিনেমার মুক্তি নিয়ে তাদের এই ব্যস্ততা। তবে সিনেমার থেকে নাটক পাড়ার ব্যস্ততায় বেশি। বর্তমানে দেশে অনেকগুলো টিভি চ্যানেল হওয়ায় নাট্যকর্মীদের কাজের হারও বেড়েছে। তারা একের পর এক নাটকের অফার পাচ্ছেন। এর একটা ভালো দিক হলো নাট্যকর্মীদের অলস বসে থাকতে হচ্ছে না। তারা বহু কাজ পাচ্ছেন। অপরদিকে আরেকটি খারাপ দিক হলো অতিরিক্ত চ্যানেল হওয়ায় অভিজ্ঞ-অনভিজ্ঞরাও নাটকে নামছেন। এতে মানসম্পন্ন নাটক হচ্ছে না। আর এ কারণে বাংলাদেশী অনেক দর্শক ভারতীয় বাংলা চ্যানেলগুলোর দিকে ঝুঁকে পড়ছেন। ভারতীয় চ্যানেলগুলোতে ঢুকে পড়ার আরও কারণ হলো বিজ্ঞাপন। অস্বাভাবিক বিজ্ঞাপন প্রচারের কারণেই এমনটি হচ্ছে বলে অনেকেই মত দিয়েছেন।
তবে এ বিষয়ে দেশীয় চ্যানেলগুলোর বক্তব্য হলো, বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলোতে অনেক মানসম্পন্ন অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়ে থাকে। তাদের মতে, এতো বেশি চ্যানেল হওয়ায় বিজ্ঞাপন প্রচারের ক্ষেত্রেও একটা প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। অনেকগুলো চ্যানেল হওয়ায় বিজ্ঞাপনের কাঙ্খিত দর তারা নিতে পারছেন না। যে কারণে অনুষ্ঠানের মধ্যে বিজ্ঞাপনের সংখ্যাও বেড়েছে। প্রতিমাসের বাজেটকে পুরো করতে প্রচুর বিজ্ঞাপন প্রচার করা লাগছে। তারা মনে করেন, ভারতীয় চ্যানেলগুলো প্রচুর বেশি দামের বিজ্ঞাপন পেয়ে থাকে। তাছাড়া বেশ কিছু ভারতীয় চ্যানেল রযেছে পে-চ্যানেল। আর তাই তারা বিজ্ঞাপন কম দিলেও পুষিয়ে যায়। আমাদের দেশের পরিস্থিতি একেবারেই ভিন্ন বলে মত দেন এদেশের টিভি চ্যানেলগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। তারা মনে করেন, এখনও আমাদের দেশের অনেক চ্যানেল রয়েছে যেগুলো অলাভজনক। বিজ্ঞাপন প্রচার কমাতে গেলে এসব চ্যানেলের অস্তিত্বই থাকবে না।
তবে আমাদের দেশের দর্শকদের এক কথা- হলো আগামী ঈদুল ফিতরে আমরা ভালো মানসম্পন্ন অনুষ্ঠান দেখতে চাই। মানসম্পন্ন অনুষ্ঠান হলে বিদেশী চ্যানেল পাত্তায় পাবে না।