The Dhaka Times
তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে রাখার প্রত্যয়ে, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সামাজিক ম্যাগাজিন।

redporn sex videos porn movies black cock girl in blue bikini blowjobs in pov and wanks off.

আশুলিয়া ট্রাজেডি ॥ রিক্তহস্তে ফিরে গেল মাতৃহারা শিশুটি!

দি ঢাকা টাইমস্‌ ডেস্ক ॥ নিহত মায়ের পরিচয়পত্র হাতে বেতনের অপেক্ষায় দাদির কোলে দেড় মাসের শিশু সিয়াম অবশেষে রিক্ত হাতেই ফিরে গেলো! এই দৃশ্য সকলকেই ব্যথিত করেছে।
আশুলিয়া ট্রাজেডি ॥ রিক্তহস্তে ফিরে গেল মাতৃহারা শিশুটি! 1
মাত্র দেড় মাস বয়সে হারিয়েছে মাকে। পুড়ে অঙ্গার মায়ের পরিচয় নিশ্চিত করতে দেওয়া হয়েছে তারই ডিএনএ নমুনা। তারপর আবার মায়ের জীবনের শেষ মাসের বেতনটুকুর জন্যও তাকেই কোলে করে নিয়ে এসে দাঁড়ানো হয়েছে লাইনে। হাতে মায়ের পরিচয়পত্র। তবুও ফিরতে হলো তাকে রিক্তহস্তে। ডিএনএর মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত না হওয়ায় হতভাগী মায়ের বেতনটুকুও পেল না সে। তাও ফুটফুটে নিষ্পাপ মুখে লেপ্টে ছিল হাসি। জীবনের এই রূঢ় বাস্তবতা কে বোঝাবে তাকে। কোনো কিছু বোঝার বয়স হয়নি যে তার। কি করুণ সে দৃশ্য। মানুষের জীবনে এমন একটা মুহূর্ত আসতে পারে তা কেও কি কখনো ভাবতে পেরেছে?

আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তাজরীন ফ্যাশনের ভয়াবহ আগুন কেড়ে নিয়েছে সিয়াম নামের এই শিশুটির মা মেরিনার প্রাণ। পরিচয় ছাড়াই অঙ্গার দেহ দাফন করেছে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম। মায়ের পরিচয় শনাক্তে গতকাল বুধবার বাবার কোলে চড়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ডিএনএ নমুনা দিয়েছে শিশুটি। পরে গতকাল ৫ ডিসেম্বর দুপুরেই মায়ের পরিচয়পত্র দেখিয়ে বেতন নেওয়ার জন্য বাবা আর দাদি তাকে নিয়ে ছুটে যান টঙ্গীর আইআরআই সেন্টারে।

বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ বলেছে, আগে পরিচয় শনাক্ত হোক। পরে সব ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। শিশুটির বাবা রুহুল আমিন জানান, তার স্ত্রী মেরিনার রোজগারে চলত সংসার। শিশুর দুধের টাকাও জোগাত তার মা। এখন আর তা সম্ভব হচ্ছে না। ওর দাদি এখন ওকে লালন-পালন করছে। পরিচয়পত্র থাকতেও কর্তৃপক্ষ তার স্ত্রীর বেতন ও ক্ষতিপূরণ দেয়নি।

রুহুল আমিন বলেন, তার স্ত্রী তাজরীন ফ্যাশনে অপারেটর হিসেবে তিন বছর ধরে কাজ করছিল। গত ২৪ নভেম্বরের আগুনে পুড়ে সে অঙ্গার হয়ে যায়। আজও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরিচয় শনাক্ত করতে সিয়ামের মুখের লালা সংগ্রহ করেছেন চিকিৎসকরা। এ ছাড়া তার ছবি ও আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়েছে।

রুহুল আমিন বলেন, গত ২১ অক্টোবর তাদের একমাত্র সন্তান সিয়ামের জন্ম হয়। এরপর থেকে প্রতিদিন দুপুরে ওর মা ছেলেকে বুকের দুধ খাওয়াতে বাসায় ফিরত। গার্মেন্টস্‌ কর্তৃপক্ষ তাকে সন্ধ্যার মধ্যেই ছুটি দিয়ে দিত। আগুন লাগার দিন সে আর ফিরতে পারেনি। এরপর থেকেই সিয়াম অবিরাম কাঁদছে। গতকাল ৫ ডিসেম্বর দুপুরে টঙ্গীর আইআরআই সেন্টারে দাদি আলেয়া বেগমের কোলে কাঁদছিল সিয়াম। আলেয়া বেগম জানান, টাকার অভাবে শিশুটিকে চিকিৎসা করাতে পারছেন না তারা। মায়ের দুধ না পেয়ে সিয়াম অসুস্থ হয়ে পড়েছে।

সিয়ামের মতো আগুনে মা হারিয়েছে সাত বছরের শিশু রুমি। তার মায়ের মরদেহও খুঁজে পাওয়া যায়নি। গতকাল এ শিশুও বাবা ওয়াহিদের সঙ্গে মায়ের বেতনের টাকা নিতে যায় টঙ্গীর আইআরআই সেন্টারে। তবে সেও মায়ের বেতন নিতে পারেনি।

শ্রম মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইসরাফিল আলম এমপি জানান, অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ছয় লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিহতদের পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দিয়েছেন। তবে যে ৫৩ জনের মরদেহ এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি, তাদের পরিচয় শনাক্ত হলেই ক্ষতিপূরণের চেক তুলে দেওয়া হবে।

এই জগতে মানুষের জীবনে যে কত রকম দুর্ঘটনায় না আসে। সৃষ্টির সেরা জীবন মানুষ। অথচ এই মানুষই সৃষ্টি করে নানা অনাচার। আর এর খেসারত দিতে হয় নিরীহ মানুষদের। কিন্তু এভাবে আর কতদিন। আর কতদিন মানুষ এভাবে পুড়ে ছাই হবে? আর কতদিন সিয়ামের মতো শিশুদের এতিম হতে হবে? এ প্রশ্ন আজ বিবেকবান প্রতিটি মানুষের। (তথ্যসূত্র: দৈনিক সমকাল)

Loading...
sex không che
mms desi
wwwxxx
bn_BDBengali