দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই শতাব্দীর শুরুতেই বিশ্ববাসী যুদ্ধের যে ভয়াবহতা দেখেছে তার মধ্যে রয়েছে আফগানিস্থান যুদ্ধ আর ইরাক যুদ্ধ। কিন্তু বিশ্বের মানবতা প্রিয় মানুষের কাছে ইরাক যুদ্ধের ভয়াবহতা যেভাবে আঁচড় কেটেছে তা আর লিখে প্রকাশ করার মতো নয়। আজ আমরা দি ঢাকা টাইমসের জন্য ইরাক যুদ্ধের কিছু হৃদয় ছোয়া ছবি তুলে ধরবো যা আপনাকে আরেকবার যুদ্ধের বিধ্বংসী কথা তুলে ধরবে।
ঠিক কি কারণে আকস্মিক তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জর্জ ডব্লিউ বুশ ও কোয়ালিশন বাহিনী ইরাক আক্রমণ করেছিল তা আজো ধোঁয়াশা। প্রথমত তারা দাবি করে ইরাক ১৯৯১ সালের চুক্তি অমান্য করে গণবিধ্বংসী অস্ত্র নির্মাণ করছে এবং তাদের কাছে এ ধরণের অস্ত্রের মজুদও আছে। তবে ইরাক আগ্রাসনের পরে পরিদর্শকরা ইরাকে গিয়ে কোন ধরণের গণবিধ্বংসী অস্ত্র খুঁজে পায়নি। তার পরও আগ্রাসনের আরো কিছু অযৌত্তিক কারণ দেখানো হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ফিলিস্তিনের আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করা, ইরাকী সরকার কর্তৃক মানবাধিকার লংঘন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা এবং ইরাকের তেল সম্পদ অধিগ্রহণ করা। অবশ্য সর্বশেষ কারণটির কথা মার্কিন কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছে। মার্কিন কোয়ালিশন বাহিনী ইরাক দখল করে সেখানে একটি গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের চেষ্টা চালায়। কিন্তু আগ্রাসনের পরপরই কোয়ালিশন বাহিনীর বিরুদ্ধে এবং ইরাকের বিভিন্ন পন্থী দলগুলোর মধ্যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।
ইরাকের কিরকুক শহর ছেড়ে যাচ্ছেন শরণার্থিরা। ১৮ মার্চ, ২০০৩ এ ছবিটি তোলেছেন Chang W. Lee।
এক ইরাকি শিশু লাফিয়ে পার হচ্ছে লাশের সারি। ছবিটি তুলেছেন Marco Di Lauro।
কালো মুখোশে ঢেকে রাখা এক ইরাকিবন্দী। তাকে কিছুক্ষণ পরপরই নেওয়া হবে কুখ্যাত আবুগারিব কারাগারে। তাই হয়তো শেষবারের মতোই সন্তানের ললাটে আদর মেখে দিয়েছিলেন। ছবিটি তুলেছেন Jean-Marc Bouju।
এক বৃদ্ধা বসে আছেন। অথচ নিকটেই বিস্ফোরিত হয়েছে গাড়ি বোমা। যুদ্ধের এই তাকে পাথরে রুপান্তর করেছে। Ghaith Abdul-Ahad এর তোলা ছবি।
৫ বছর বয়সী সামার হাসানের চোখের সামনে বাবা-মাকে মেরে ফেলেছে। সামারের কান্নায় পাথর গলে যায়। গলেনি সৈনিকের মন। ছবিটি Chris Hondros এর তোলা।
পিতাকে ফিরে পেয়ে পুত্রের আবেগের কান্না। Khalid Mohammed নামের এক ইরাকি সাংবাদিকের এর তোলা ছবিটি।
মার্কিন সেনা আর ইরাকি কিশোরী। যুদ্ধ বনাম শান্তি। ছবি: Hyoung Chang।