দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সর্বশেষ খবরে জানা গেছে ইসরায়েল এবার দুর্বল ফিলিস্তিনিদের উপর আকাশ পথের পাশাপাশি স্থল পথেও সৈন্য পাঠাচ্ছে। জীবন বাঁচাতে গাঁজা ছেড়ে যাচ্ছে লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।
গাজায় সর্বশেষ দফা আক্রমণ শুরুর পর ইসরায়েলে এই প্রথম সেখানে এক স্থল হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি নৌ কমান্ডোরা গাজার উপকূলে এই অভিযানে অংশ নেয়। ইসরায়েল জানিয়েছে, মিসাইল উৎক্ষেপন করা হচ্ছিল এমন একটি স্থানে নৌ কমান্ডোরা হামলা চালায়। এসময় তাদের চার জন সৈন্য আহত হয়। তবে এই হামলায় কত সংখ্যক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে তা জানা যায়নি।
এদিকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সূত্রে জানা গেছে, ইসরায়েল তাদের ভয়ংকর সব রকেট হামলাতে ব্যবহার করছে ক্যানসার জীবাণু। এসব জীবাণু আহতের শরীরে ক্যানসারের বাসা বাদছে। ইসরায়েলি বোমার আঘাতে আহত অসংখ্য মানুষের শরীরে ক্যানসার সদৃশ ক্ষত এবং আলামত পেয়েছে সেখানকার চিকিৎসকরা।
ইসরায়েলের হামলার মাত্রা সময়ের সাথে সাথে আরো বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে ইসরায়েলি বিমান হামলার গাজায় মসজিদ ও প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন কেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ।
গাজা থেকে অব্যাহত রকেট হামলা ঠেকাতে আট মিসাইলবিশিষ্ট আরেকটি আয়রন ডোম স্থাপন করেছে ইসরায়েল। গাজা থেকে রকেট হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত সম্ভাব্য সব আক্রমণ চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।
এদিকে যুদ্ধরত দুই পক্ষকে শান্ত হতে এবং ভেঙে পড়া যুদ্ধ বিরতি চুক্তি পুনরায় কার্যকরের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। শনিবার এই প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে পাস হয়।
গাজায় ইসরায়েলি অভিযান শুরুর পর বহু মানুষ মারা গেছেন যাদের মধ্যে প্রচুর নারী, শিশু এবং বয়স্ক বেসামরিক মানুষ রয়েছেন।
অন্যদিকে ইসরায়েলের ওপর ফিলিস্তিনিদের ছোঁড়া রকেটে এ পর্যন্ত একজনেরও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। ইসরায়েল যে ‘আয়রন ডোম’ ক্ষেপনাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে, তা বেশিরভাগ রকেট আকাশেই ধ্বংস করে দেয়।