দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিএনপি তথা ১৮ দলের ডাকা আধাবেলার হরতাল শুরু হয়েছে। কিছু বিশৃংখলার চেষ্টা করা হলেও ঢিলেঢালাভাবে পালিত হচ্ছে হরতাল কর্মসূচি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুক্তির দাবিতে ডাকা এই হরতাল সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলবে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। দূরপাল্লার বাস ছাড়েনি। তবে রাজধানী লোকাল বাস চলছে পর্যাপ্ত পরিমাণ। যাত্রাবাড়ীতে একটি গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। পুলিশ কঠোর অবস্থানে থাকায় পিকেটিংকারীরা সুবিধা করতে না পেরে সরে পড়েছেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে মিছিল করেছে বিএনপি। চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশালসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। চট্টগ্রামে বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে সকালে মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের কাছে পুলিশের সঙ্গে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরা সংঘর্ষে জড়ালে কয়েকজন আহত হয়েছেন। সকাল থেকে বিক্ষিপ্ত পিকেটিংয়ের খবর এসেছে বরিশাল থেকেও।
হরতালের আগের রাতে রাজধানীতে অন্তত ছয়টি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। আজ হরতাল শুরুর পর সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বিজয়নগর ও নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের কাছে অন্তত তিনটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলে জানান পল্টন মডেল থানার পরিদর্শক আলম ভূঁইয়া।গত কয়েকদিনের মতো হরতালের সকালেও বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘিরে রেখেছে বিএনপি কার্যালয়। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আজিমপুরে ছাত্রদলের কর্মীরা মিছিল বের করলে সেখানেও একটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। হাতবোমা ফাটার খবর পাওয়া গেছে বাসাবোর আহমদবাগ এলাকাতেও। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আজিমপুরে ছাত্রদলের কর্মীরা মিছিল বের করলে সেখানেও একটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। হাতবোমা ফাটার খবর পাওয়া গেছে বাসাবোর আহমদবাগ এলাকাতেও। কাঁটাবনে জামায়াতে ইসলামী কর্মীরা মিছিল থেকে পুলিশের ওপর ঢিল ছুড়েছে এবং কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করেছে।এছাড়া বিরোধী দলের কর্মীরা রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে হরতালের সমর্থনে ঝটিকা মিছিল করার চেষ্টা চালায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
‘আমাদের কাছে গুলি করার নির্দেশ আছে’
বাংলাদেশ নিউজ২৪ বলেছে, ১৮ দলের ডাকা বৃহস্পতিবারের দেশব্যাপী হরতালে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে মিরপুর ১ নম্বরে শাহআলীবাগ বিশিল আদর্শ বিদ্যালয়ের সামনে পাঁচটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়।
একই সময়ে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে পিকেটাররা রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ধাওয়ায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে পিকেটাররা বাস ভাঙচুর করার চেষ্টা করলেও পুলিশের সতর্কতায় সবাই ব্যানার গুটিয়ে চলে যায়।
এ ব্যাপারে দারুস সালাম থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) কাওসার আহম্মেদ বলেন, হঠাৎ কয়েক জন এসে একসঙ্গে পাঁচটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে চলে যায়। তিনি জানান, নাশকতা মাত্র কয়েক মিনিট স্থায়ী ছিল। টায়ার জ্বালিয়ে আগুন ধরানোর ও বাস ভাঙচুর করার চেষ্টা করলে তাদের ধাওয়াতে পিকেটাররা পালিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, “ওদের(পিকেটার) গুলি করতে পারতাম কিন্তু সাংবাদিকদের জন্যে গুলি করতে পারিনি। আমাদের আজকে গুলি করার নির্দেশ আছে।” তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “কোথাও আগুন ও ভাঙচুর হলে আপনারা দূরে থাকবেন।