দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশব্যাপী বাম দলগুলোর ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হচ্ছে। কিছু কিছু স্থানে শুধু মিছিল ও সমাবেশের খবর পাওয়া গেছে। তবে কোথাও তেমন কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সকাল ১০টা) পাওয়া যায়নি।
রাজধানীতে পালিত হচ্ছে হরতাল। অনেক দিন পর মনো হলো শান্তিপূর্ণ হরতাল হচ্ছে। কারণ কোন পিকেটার নেই। গাড়ি ভাংচুর নেই। অগ্নিসংযোগ নেই। নেই কোন বিশৃংখলা। হরতাল প্রকৃত পক্ষে যেমনটি হওয়া উচিত ঠিক তেমনই হচ্ছে। কারণ আমাদের দেশে হরতাল ডাকলে জনগণ তাতে সমর্থন দেন না। কারণে অকারণে হরতাল করতে করতে আজ জনগণ অতিষ্ঠ। তাছাড়া যুদ্ধপরাধীদের বিচারের পক্ষে সমগ্র বাঙালি জাতি তা আবার প্রমাণ হলো। কারণ একমাত্র জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সমর্থনকারী ছাড়া যুদ্ধপরাধীদের বিচার সবাই চাই। আর তাই আজকের হরতাল দেখে মনে হচ্ছে শুধু জ্বালাও পোড়াও করে, মানুষ হত্যা করে, গাড়িতে আগুন আর ভাংচুর করে যে হরতাল করা হয়-তাতে জনগণের সমর্থন কখনও থাকে না। অন্তত সামপ্রতিক সময়ের সহিংস হরতালগুলোই তার প্রমাণ। বিরোধী দলের তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুটিও জনগণের মনের ইস্যু। কিন্তু যুদ্ধপরাধীদের রক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকার জন্য জনগণ সেসব কর্মসূচিকে কখনও প্রাধান্য দিচ্ছেন না। আর তাই বিরোধী দলগুলোকেও এ বিষয়ে নতুন করে ভাবতে হবে।
আজকের হরতালে রাজধানী গাড়ি চলছে অনেক কম। খুব কম সংখ্যক গাড়ি চলতে দেখা গেছে। অফিস-আদালতে উপস্থিতি অনেক কম। রাজধানীর মার্কেকগুলো পুরোপুরি বন্ধ। রাস্তায় খুব সামান্য প্রাইভেট কার দেখা গেছে। যা এ যাবত কালের হরতালের ব্যতিক্রম। কারণ জ্বালাও পোড়াও নাই বলে অনেকেই জরুরি প্রয়োজনে প্রাইভেট কার বের করেছেন। তবে বাস নাই বললেই চলে। সিএনজি ও রিক্সা রয়েছে প্রচুর।