ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হ্যাকিং শব্দটি কিন্তু এখন আর নতুন নয়। সমপ্রতি ভারতীয় সীমান্তরক্ষি বাহিনী বিএসএফ’র সাইড হ্যাক করে দুনিয়া জোড়া আলোচনার ঝড় উঠেছে।
এই হ্যাকিং শব্দটি উঠে এসেছে ‘ফেসবুক হ্যাকিং’।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক প্রতিষ্ঠার সুচনালগ্ন থেকেই বারবার হ্যাকিংয়ের শিকার হচ্ছে। তাই ফেসবুককে আরও সুরক্ষিত করতে গত বছর থেকে ‘হ্যাকার কাপ’ আয়োজন করার ঘোষণা দিয়েছিল ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। প্রতিযোগিতার মূল বিষয়বস্তুই হচ্ছে তাদের নিরাপত্তা বলয় কিভাবে ভেঙে ফেলা যাবে সেই চেষ্টা করা। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এ প্রতিযোগিতার নাম দিয়েছে ‘হ্যাকার কাপ চ্যালেঞ্জ’।
প্রথমবার আয়োজিত চ্যালেঞ্জ কাপে প্রায় দেড় হাজার প্রতিযোগিকে টপকে সেরা হ্যাকার খেতাব পায় রাশিয়ার গুগল কর্মী মিট্রিচেভ। এবারও বিশ্বের সব খ্যাতনামা হ্যাকারকে খুঁজে বের করতে দ্বিতীয় বারের মতো হ্যাকার কাপ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে ফেসবুক। এ প্রসঙ্গে ফেসবুকের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ডেভিড আলভাস তার প্রকাশিত এক পোস্টে লিখেছেন, হ্যাকিং হচ্ছে নিরাপত্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা আমাদের ফেসবুককে যথাযথভাবে গড়তে সাহায্য করে। যখন আমরা প্রধান কোন পণ্যের মূল নকশা করি যেমন টাইমলাইন তা হয় হ্যাকাথনভিত্তিক। আর এ জন্য তৈরি করি উন্নতমানের সার্চ এলগরিদম এবং টিয়ারিং ডাউন ওয়াল। সবসময় হ্যাকিং-এর মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে সবচেয়ে উন্নত পদ্ধতি আবিষ্কার করার চেষ্টা করি। এ বছর জানুয়ারিতে শুরু হওয়া এ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হবে আগামী মার্চে।
যুক্তরাষ্ট্রে ফেসবুকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণ করার জন্য মাত্র ২৫ জনকে মনোনয়ন দেয়া হবে। আর এ জন্য তাদের প্রাথমিকভাবে অন্তত পাঁচটি রাউন্ডে প্রোগ্রামিংয়ে দক্ষতা প্রমাণ করতে হবে। তারপর অনলাইনে হবে আরও তিনটি রাউন্ড। সব কিছু যাচাই-বাছাই করে বছরের সেরা হ্যাকার ঘোষণা করবে কর্তৃপক্ষ। প্রতিযোগিতার পুরস্কার হিসেবে সেরা হ্যাকার পাবেন ৫ হাজার ডলার এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী যথাক্রমে ৪ হাজার ও ৩ হাজার ডলার পাবেন। আর অন্যদের প্রত্যেকে পাবেন ১০০ ডলার করে।
-তথ্য সূত্র: দৈনিক যুগান্তর