দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জীবন সঙ্গীর সঙ্গে কেও প্রতারণা করতে চাইলে, তার জন্য সবচেয়ে উত্তম সমাধান হচ্ছে অনলাইন ডেটিং সার্ভিস অ্যাসলে ম্যাডিসন (বাংলাদেশে এ সেবা এখনও সহজলভ্য নয়, মাত্র ১৫ মাস আগে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে এর আগমন ঘটলেও ইতিমধ্যেই সেখানে এর গ্রাহক সংখ্যা ১০ লাখে দাঁড়িয়ে গেছে! বিশ্বের অন্যান্য দেশেও এসব সাইটের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
১০ বছর আগে যাত্রা শুরু করা অ্যাসলে ম্যাডিসন-এর মূল স্লোগান হচ্ছে- খরভব Life Is short. Have an affair।
বিশ্বের ২৪টি দেশে এর উপস্থিতি থাকলেও কেবল যুক্তরাষ্ট্রে এর সদস্য সংখ্যা ৮০ লাখ আর কানাডাতে ৬০ লাখ। তবে গ্রাহকের বৃদ্ধির হারের দিক থেকে বিচার করলে ব্রাজিল হচ্ছে তাদের জন্য সবচেয়ে সফল। ব্রাজিলে অ্যাসলে ম্যাডিসনের সদস্যদের বেশির ভাগ (৭০ ভাগ) হচ্ছে পুরুষ। ব্রাজিলে অ্যাসলে ম্যাডিসনের প্রতিনিধি এডুয়ার্ডো বোর্জেস বলেছেন, আনন্দ- উৎসব আর সেক্সের জন্য ব্রাজিলিয়ানদের মধ্যে একটা মরিয়া ভাব রয়েছে। সেই সঙ্গে তারা অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য প্রযুক্তিকেও খুব বেশি ব্যবহারে আগ্রহী। ব্রাজিলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় আট কোটি। আর ফেসবুক বা টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্রাজিলের অবস্থান প্রথম সারির দিকে। বোর্জেস মনে করে এ দুই মিলে অ্যাসলে ম্যাডিসন ব্রাজিলিয়ানদের জন্য বিশেষ সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এর মাধ্যমে প্রতারণা করতে উদ্বুদ্ধ করা হয় না। বরং সঠিক ভাবে বিকল্প সম্পর্কের সন্ধান দেয়া হয়। অ্যাসলে ম্যাডিসনের বিপণনের মূলমন্ত্র হচ্ছে সঠিক ভাবে কোন কিছু উপস্থাপনের উপায় বলে দেয়া।
বোর্জেস বলেছেন, ২০১১ সালের আগস্টের শেষের দিকে প্রতি বছর ৫০০০০০ গ্রাহককে লক্ষ্য করে ব্রাজিলে অ্যাসলে ম্যাডিসন যাত্রা শুরু করেছিল। আর ২০১২ সালের শেষের দিকে এসে এর সদস্য সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ ছুঁয়ে গেছে। এটা প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি বলে তিনি উলেস্নখ করেন। সারাবিশ্বে এক কোটি ৭০ লাখ গ্রাহক নিয়ে এ বছর অ্যাসলে ম্যাডিসনের আয়ের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ১২ কোটি ডলার। আয়ের দিক থেকে ব্রাজিল হচ্ছে অ্যাসলে ম্যাডিসনের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার। এ বছর শেষ হওয়ার আগেই প্রথমবারের মতো কানাডার বাইরে সাও পাওলোতে অ্যাসলে ম্যাডিসন একটি অফিস খোলার পরিকল্পনা করেছে। নারীদের কথা মাথায় রেখেই প্রথমে অবশ্য অ্যাসলে ম্যাডিসন তৈরি করা হয়েছিল।
মাসিক চাঁদার পরিবর্তে ক্রেডিট ভিত্তিতেই অ্যাসলে ম্যাডিসন তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। দু’জন সদস্যের যোগাযোগ শুরু করার জন্য একজন সদস্যকে পাঁচ ক্রেডিট অ্যাসলে ম্যাডিসনকে প্রদান করতে হয়। একবার দুজনের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপিত হয়ে গেলে দুজনের মধ্যে যোগাযোগের জন্য আর কোন ক্রেডিট দিতে হয় না। একজন সদস্যকে ১০০ ক্রেডিটের প্যাকের জন্য অ্যাসলে ম্যাডিসনকে ২৫ ডলার দিতে হয়। ব্রাজিলে অ্যাসলে ম্যাডিসন প্রথম যাত্রা শুরুর সময় ‘নিশ্চিত ভালোবাসা’ নামক একটি কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এতে অ্যাফেয়ার না হলে অর্থ ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। বোর্জেস বলেছেন- কেউই এখনও তাদের কাছে অর্থ ফেরতের দাবি করেনি। অ্যাসলে ম্যাডিসন কর্মকর্তারা মনে করেন বৈবাহিক জীবনকে একঘেয়েমি থেকে রক্ষা করার একমাত্র উপায় হচ্ছে প্রতারণার আশ্রয় নেয়া। বোর্জেস বলেন, কারো বৈবাহিক জীবনে সমস্যা রয়েছে। অথচ তিনি বিবাহ বিচ্ছেদ চান না। এমন লোকজনের জন্যই আমাদের এ সেবা ব্যবস্থা। -অনলাইন পত্রিকা অবলম্বনে।