দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ১৮ দলীয় বিরোধী জোটের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল সারাদেশে পালিত হচ্ছে। হরতালের আগের দিন রাজধানী গাড়ি ভাংচুর ও গাড়ি পোড়ানোর মহোৎসবে নেমেছিল হরতালকারীরা।
হরতালের আগের রাতেই অন্তত ৬টি গাড়িতে অগ্নি সংযোগ করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবন লক্ষ করে কে বা কারা ককটেল নিক্ষেপ করে। ভিসি অবশ্য দেশে নেই। তবে কেও হতাহত হয়নি। পুলিশী প্রহরা বাড়ানো হয়েছে। অপরদিকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন এলাকায় গতকাল জামায়াতে ইসলামী একটি মিছিল করে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি পেট্রোল বোমা হামলা চালানো হয় একটি যাত্রীবাহী বাসে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামী মিছিল করলে সেখানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। তবে রাজধানীতে ব্যাপক নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। কোথাও যেনো কোন হরতালকারী বিশৃংখলা করতে না পারে সেজন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
হরতালে বিশৃঙ্খলা এড়াতে রোববার ভোর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেন পুলিশ। তবে এর মধ্যেও হরতালের প্রথম ঘণ্টায় মিরপুরে একটি বাসে আগুন দেয়া হয়েছে। তেজগাঁও ও পান্থপথে পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে হরতালকারীরা। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে অলিগলিতে হরতালের সমর্থনে বিক্ষিপ্ত মিছিলের খবর পাওয়া গেছে। ফার্মগেইট এলাকা থেকে দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ। অন্যান্য হরতালের মতো এদিনও নয়া পল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে বাইরে করা নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তবে সেখানে সকালে হরতালকারীদের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। পুলিশের ঘেরাওয়ের মধ্যে কার্যালয়ের ফটকে কলাপসিবল গেইটের ভেতরে বসে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাংবদিকদের বলেন, “এই হরতাল জনগণের স্বার্থে। আমি সারা দেশের যে খবর পেয়েছি, সব জায়গায় মানুষ এই হরতালে সমর্থন দিয়েছে।”
উল্লেখ্য, গত ৩ জানুয়ারি রাতে সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পরপরই দলের নেতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। পরদিন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম হরতালের ঘোষণা দেন।