ঢাকা টাইমস্ রিপোর্ট ॥ আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি শোকে গাঁথা সেই দিন। যেদিন বাংলাদেশের ইতিহাসে এতগুলো তরতাজা সামরিক কর্মকর্তা কতিপয় দেশদ্রোহী কর্মকর্তার কারণে প্রাণ দিতে হয়েছিল। সেই দিন পিলখানায় যে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ ঘটেছিল, আজও সেই কথা মনে হলে গায়ের লোম সিংড়ে ওঠে। নিশংসতা ও বর্বরতার সকল ধাপ সেদিন হত্যাকারীরা ছাড়িয়ে গিয়েছিল পিলখানার দরবার হলে। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে প্রাণ হারান ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৩ জন।
জাতি আজ সেই সব শহীদদের কথা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে। শোক, শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় পিলখানায় নিহতদের স্মরণ করছে সমগ্র জাতি। ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে বনানীর সামরিক কবরস্থানে রাষ্ট্রপতির পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কাজী ফখরুদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সহকারী সামরিক সচিব লে. কর্নেল মনির, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, তিন বাহিনীর প্রধান, বিজিবির মহাপরিচালক নিহতদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের পক্ষে দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল আলম হানিফ প্রমুখ শ্রদ্ধা জানান। বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ পিলখানার বিডিআর হত্যাকাণ্ডের শহীদদের গভীর শ্রদ্ধা জানান। বনানী কবরস্থানে গিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন ও মোনাজাত করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এছাড়া নিহতদের স্বজনেরা ভিড় করেছেন বনানী কবরস্থানে। তাদের সবার চোখে অশ্রু ছলছল করছিল। অনেকেই তিন বছরেও এই নারকীয় হত্যাকান্ডের বিচার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।