দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে মরুভূমির ‘ধাব’ নামক প্রাণী এখন ঢাকার কারওয়ান বাজারে। সমপ্রতি রাজধানীতে হকারবেশী জনৈক ব্যক্তি প্রায় শ’খানেক মানুষ জমিয়ে ফেলেছে। কারণ মজমায় নিয়ে আসা জীবন্ত প্রাণীগুলো আগে কেও দেখেনি।
ইংরেজি ভাষায় এই প্রাণীদের ংঢ়রহু ঃধরষবফ ষরুধৎফ বলে। হিন্দিতে শাণ্ডা, উর্দুতে সালমা আর বাংলায় তক্ষক বলা হয়। সারা পৃথিবীতে এ প্রজাতি মহাবিপন্ন। সৌদি আরব, আবুধাবি, মিসর, ইরাক, ইরান, উত্তর আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, ভারতের থার মরুভূমিতে শতবছর আগে বেদুইনরা যখন উটের পিঠে চলত, তখন তাদের প্রোটিনের একটি মৌলিক উৎস ছিল ‘ধাব’ নামের এই প্রাণীটি।
ডাইনোসরদের উত্তরসূরি এ প্রজাতিগুলো তৃণভোজী। মরুভূমির শক্ত পাথুরে স্থানে ৮ মিটার দীর্ঘ গুহায় দিনের বেশির ভাগ সময় পার করে মরুভূমির গরম থেকে বাঁচতে। আকারে এক থেকে তিন ফুট লম্বা। এরা পাঁচ থেকে চল্লিশটি ডিম দেয়। ডিম ফুটে বাচ্চা বের হতে ৭৫ দিনের মতো সময় লাগে। এদের লেজ প্রচণ্ড শক্তিসম্পন্ন ও শক্ত কাঁটা দ্বারা আবৃত। আত্মরক্ষার জন্য কাঁটাযুক্ত লেজটি খুব দ্রুত সঞ্চালন করতে পারে।
প্রাণিবিদ ড. আনিসুজ্জামান বলেন, ধাবের চামড়া বেশ মূল্যবান। লেজের চর্বি থেকে তেল বের করে নানা ধরনের চিকিৎসা করা হয়। বাত, হাঁপানি ও চর্মরোগে এ তেল নিরাময়ক হিসেবে গণ্য করে তথাকথিত কবিরাজরা। বিশেষ করে ধাবের তেল এদেশে যৌন উত্তেজক উপাদান হিসেবে সমাদৃত। মূলত বাণিজ্যিক ব্যবহারের কারণে এগুলোর সংখ্যা সারা বিশ্বে বিলুপ্তির শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
চোরাপথে নিয়ে আসা ঢাকার কারওয়ান বাজারের ধাবগুলোকে খুব ক্লান্ত দেখাচ্ছিল। তেল বিক্রেতা সবাইকে আকৃষ্ট করে বলছে, ‘আপনারা খান মাছ কিন্তু এরা খায় বাতাস’ তারপর ‘এই দেখেন’ বলে এক হাতে জীবন্ত প্রাণীটির পাকস্থলীতে জোরে চাপ দেয়, আবার ছেড়ে দেয়। এমন চাপাচাপিতে ধাবের জিভ বের হয়ে আসে। চারদিকে দাঁড়ানো মানুষ প্রাণীটিকে মন ভরে যে দেখছে তা কিন্তু নয়, বরং একই সময়ে জীবন্ত প্রাণীগুলোকে গরম পানিতে সেদ্ধ করে তেল বানানোর প্রক্রিয়া দেখতে ব্যস্ত সবাই।
পরিবেশের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আমাকে এমন অসহনীয় অনেক কিছু দেখতে হলো। প্রায় শ’খানেক লোকের সামনে একটি গামলায় জীবন্ত একটি ধাব গলিয়ে কালো রঙের তরল জলীয় পদার্থ বের হতে দেখা গেল, যা আসলে তেল নয়। অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত সব মানুষের সঙ্গে আমিও তেল বের করার পদ্ধতি দেখছি, তবে মুগ্ধ হওয়া যায় না অন্য অনেকের মতো।
বাংলাদেশের ধাবের তেলের বিশেষ চাহিদা থাকার কারণে পাকিস্তান এবং ভারতের বিভিন্ন এলাকা থেকে এই প্রাণীগুলো বাংলাদেশে আসে। মজমা শেষে তেল বিক্রেতা আরও জানাল, এই প্রাণীগুলো স্থলপথে হিলি সীমান্ত দিয়ে ঢাকায় এসেছে। আরও কিছু প্রাণী রয়েছে তাদের প্রধান কার্যালয় মানিকনগরে। এদেশে প্রকাশ্যে যত সহজে বন্যপ্রাণী বেচাকেনা হয়, অন্য রাষ্ট্রের সরকার এসব ব্যাপারে অনেক সজাগ। কিন্তু আমাদের দেশে পুলিশের সামনেই প্রদর্শন করা হচ্ছে এসব দুষ্পাপ্য প্রাণী!
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো এই ধাব সংরক্ষণে বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। সেদিক থেকে তাদের সে কার্যক্রমকে স্বাগত জানাতে এদেশেও খোলা বাজারে মজমা বসিয়ে এই প্রাণীকে যত্রতত্র হত্যা করা বন্ধ করতে হবে। (সৌজন্যে দৈনিক সমকাল)।
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জোভান-তটিনী অনস্ক্রিনে এবার ভালোই রসায়ন জমিয়ে তুলেছেন। তবে এবারের ঈদে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ইসরায়েলি হামলায় আল…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ ২৬ মার্চ, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস । ১৯৭১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ১২ চৈত্র ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কৃষ্ণপক্ষের রাত। উত্তাল দিন শেষে সন্ধ্যা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক সময়ের জনপ্রিয় ফিচার ফোন নকিয়া ৩২১০ নতুন রূপে আবারও…