দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্ভাবনা থাকা সত্বেও কমলা উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের কমলা চাষিরা। পরামর্শ ও সহযোগিতা না পাওয়ায় নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে কমে গেছে কমলা উৎপাদন। ক্ষতির মুখে পড়ে বাগান কেটে ফেলারও সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন চাষিরা!
প্রকাশ থাকে যে, মাটি কমলা চাষের উপযোগী হওয়ায় কৃষি মন্ত্রণালয় কমলা চাষ সমপ্রসারণে ২০০৬ সালে ঠাকুরগাঁওয়ে ৫ বছর মেয়াদী কমলা উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কমলা চাষে উদ্বুদ্ধ করতে ৫ হাজার ৪৯০ জন কৃষককে প্রশিক্ষণ দিয়ে ৯৪ হাজার ৪০০ চারা সরবরাহ করে প্রকল্পটির কার্যক্রম শুরু হয় । অল্প সময়েই জেলার সদর ও রানীশংকৈল উপজেলায় প্রায় বসতবাড়িসহ ১৪৮ হেক্টর জমিতে ২২৫টি কমলা বাগান গড়ে উঠে। সম্ভাবনাময় এই কমলা চাষে চাষিরা সুফল পেতেও শুরু করে। কিন্ত প্রকল্পের সফলতা পাওয়ার আগেই গেল বছরের জুন মাসে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় প্রকল্পের সব কার্যক্রম। প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীও বদলি করা হয় অন্যত্র। ফলে প্রয়োজনীয় পরামর্শ না পেয়ে বিপাকে পড়েছে কমলা চাষিরা। প্রকাশ, ফলনে পচন আর পাতা মোড়ানো রোগে আক্রান্ত হয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বাগানগুলো। সদর উপজেলার ইয়াকুবপুর গ্রামের কানাই লাল বর্মণ বলেন, ২০০১ সালে ১০ শতক জমিতে খাসিয়া, ম্যান্ডারিন ও নাগপুরি জাতে ৪৩টি কমলা গাছ নিয়ে বাগান শুরু করি। প্রকল্পের কর্মকর্তাদের পরামর্শে বাগান লাভজনক হয়ে ওঠে। কমলার পাশাপাশি এর গাছেরও নার্সারী গড়ে তুলি। কিন্তু এখন প্রকল্প বন্ধ হওয়ার পর বিপাকে পড়েছি। নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে বাগান ক্ষতির মুখে পড়েছে। কৃষি বিভাগ থেকেও কোন পরামর্শ পাওয়া যাচ্ছে না।
গিলাবাড়ী গ্রামের কমলা চাষি বদর উদ্দিন ও খোকন মিয়া জানান, কি রোগে গাছ আক্রান্ত হয় তা জানা যাচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে আগামী বছরের আগেই এই বাগান কেটে অন্য ফসলের আবাদ করতে হবে বলে মনস্থির করেছি। কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক বেলায়েত হোসেন বলেন, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কমলা চাষের সাফল্য অব্যাহত রাখতে প্রকল্পটি চালু করা একান্ত প্রয়োজন। চাষীরা জরুরি ভিত্তিতে এই প্রকল্পের কার্যক্রম চালুর দাবি জানিয়েছে।