দি ঢাকা টাইমস ডেস্ক ॥ প্রতি সপ্তাহের মতো আজও আমরা বিশ্বের বিভিন্ন মজার মজার খবর আপনাদের সামনে তুলে ধরবো- আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
যে গাছের পেট মোটা
যেমন বিশাল তেমনি মোটা তার পেট। অদ্ভুত আকৃতির এই গাছের নাম বাওবাব। মাটি থেকে বিশাল আকারের কাণ্ড লম্বা হয়ে উপর দিকে উঠে গেছে। আর কাণ্ডের মাথায় ঝোঁপঝাড়ের মতো ছড়ানো ডালপালা। দূর থেকে দেখলে মনে হবে, কেউ যেন গোড়া থেকে গাছটিকে উপড়ে নিয়ে মাথার দিকটা মাটিতে পুঁতে শিকড়বাকড়গুলো আকাশের দিকে ছড়িয়ে রেখেছে। আফ্রিকা এবং ভারতের মরু অঞ্চলের বৃক্ষহীন তৃণভূমিতে এই গাছ দেখা যায়। এসব গাছ প্রায় ৭৫ ফুট লম্বা হয় আর বেঁচে থাকে কয়েক হাজার বছর। বাওবাব গাছে বছরের নয় মাস কোনও পাতা থাকে না। মরুভূমি অঞ্চলে এই গাছ জন্মে। বর্ষা মৌসুমে এই গাছ তার পিপা আকৃতির কাণ্ডের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ পানি জমিয়ে রাখে। খরার মৌসুমে এই পানিতে তার প্রয়োজন মিটে যায়। বাওবাব গাছের সবকিছুই মানুষের কাজে লাগে। গাছের বাকল দিয়ে পোশাক ও দড়ি তৈরি হয়। পাতা থেকে তৈরি হয় চাটনি জাতীয় খাবার ও ওষুধ। গাছের ফল মানুষের খাদ্য। আর এই গাছের বিশাল গুঁড়ির গর্তে মানুষ বসবাস করে। ঢাকার রমনা পার্কের উত্তর-পূর্ব দিকে এই গাছ রয়েছে। তবে গাছটি আফ্রিকান বাওবাবের মতো অত মোটা নয়।
আকাশে হাঁটা
স্কাইওয়াকিং বা আকাশে হাঁটা ব্যাপারটা বেশ রোমাঞ্চকর। কিন্তু সত্যি সত্যি কি মানুষ আকাশে হাঁটে? বেড়াতে পারে? স্কাইওয়াকিং-এর সময় মানুষ মাধ্যকর্ষণের মায়া কাটাতে পারে না ঠিকই, কিন্তু কিছুটা হলেও দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে পারে। কী করে? অকল্যান্ডের স্কাইটাওয়ারের সাহায্যে। অকল্যান্ডের এই বিল্ডিংটি ৩২৮ মিটার উঁচু। এরকম একটি উঁচু বাড়ির জানালা থেকে নিচের দিকে তাকালে বা ছাদের কার্নিশে দাঁড়ালে একটা রোমাঞ্চ হতে বাধ্য। স্কাইটাওয়ারে একটি ১-২ মিটার চওড়া প্ল্যাটফর্মে চলে স্কাইওয়াকিং। অবশ্য প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বন না করলে এই কাজটি করা যায় না। স্কাইওয়াকিংয়ে পরতে হয় বিশেষ পোশাক। নিরাপত্তার জন্য স্কাইওয়াকারদের শরীরে শক্তপোক্ত দড়ি বাঁধা থাকে, যাতে কোনওভাবে পা পিছলে গেলেও তারা অক্ষত থাকেন। এই স্কাইটাওয়ার দক্ষিণ গোলার্ধের সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিং এবং এখান থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত দেখা যায়। একটা বাড়ির ১৯২ মিটার উঁচু একটি প্ল্যাটফর্ম দিয়ে হেঁটে বেড়ানোর সুযোগ পেলে অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় মানুষ তা ছাড়েন না!
চাঁদ থেকে দেখা যায় যে প্রাচীর
চীন দেশের সঙ্গে চীনের মহাপ্রাচীর সমার্থক হয়ে গেছে। কোনও বিশেষ একজন সম্রাট একে গড়ে তোলেননি। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে, এক সম্রাট থেকে আরেকজন, এক রাজবংশ থেকে আরেক রাজবংশ গড়ে তুলেছেন। এই প্রাচীর পাঁচ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি লম্বা। তৎকালীন মধ্য এশিয়ার রণোন্মাদ উপজাতিদের হাত থেকে সাম্রাজ্যকে বাঁচাতে গড়ে উঠেছিল এই স্থাপত্য বিস্ময়। চীনের মহাপ্রাচীর চাঁদ থেকেও দেখা যায়। মহাপ্রাচীর তার কৌলীন্য বা গরিমা নিয়ে আজও দাঁড়িয়ে আছে।
চীনের বেইজিং থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে বাদালিং গিয়েও এই প্রাচীরের দেখা মেলে। এখানে মহাপ্রাচীরের এই অংশটি তৈরি করেছিলেন মিং বংশের সম্রাটরা। অনতিউচ্চ পাহাড়ের মাথায় ময়াল সাপের মতো সর্পিল আকারে দূরে ঝাপসা হয়ে মিলিয়ে গেছে মহাপ্রাচীর।
এই প্রাচীরে একের পর এক নজর-মিনার রয়েছে। অতীতে এখান থেকেই নজর রাখতেন সীমান্তরক্ষীরা। উত্তরদিক থেকে কোনও শত্রুপক্ষীয় সৈন্যদল এগিয়ে আসতে দেখলে তারা মশাল জ্বেলে সংকেত পাঠাতেন প্রতিবেশী নজর-মিনারের রক্ষীদের, তারা সংকেত পাঠাত পরের মিনারকে। মুহূর্তের মধ্যে সারা অঞ্চলজুড়ে শত্রু আক্রমণের সংবাদ ছড়িয়ে পড়ত। একটা মশাল জ্বলার অর্থ একশ’ জন শত্রু। দুটি মশাল জ্বলার অর্থ পাঁচশ’ জন শত্রু। তিন মশাল জ্বললে বুঝতে হতো এক হাজার শত্রু। চারটি মানে পাঁচ হাজার শত্রু। আর পাঁচটি মশাল জ্বলে উঠলে ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচা’।
মহাপ্রাচীর ছাড়াও বেইজিং শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে চীনের সুবিখ্যাত রাজপ্রাসাদ, উইনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ‘ফরবিডেন সিটি’। ১৪০৩ খ্রিস্টাব্দে মিং সম্রাট ইয়ুথালে পুরনো রাজধানী নানজিংয়ের বদলে নতুন রাজধানী গড়ে তোলেন বেইজিংয়ে। নতুন রাজধানীতে যথোপযুক্ত করে আনুমানিক দশ লাখ শ্রমিক গড়ে তোলে এক দৈত্যাকৃতি রাজপ্রাসাদ ‘নিষিদ্ধ নগরী’, এমন নামকরণের কারণ, সম্রাটের অনুমতি ছাড়া এখানে প্রবেশ করার অর্থ ছিল মৃত্যুদণ্ডকে আহ্বান করা। ১৪০৬ থেকে ১৪২০ এই ১৪ বছর ধরে গড়ে ওঠে এই নগরী। বারবার ভাঙাগড়ার মধ্য দিয়ে প্রায় পাঁচশ’ বছর ধরে, প্রথমে মিং এবং পরবর্তীকালে চিং বংশের সম্রাটরা এই প্রাসাদ থেকে তাদের বিশাল সাম্রাজ্য চালাতেন। এখানে দশ লাখ বর্গমিটার জুড়ে ছড়িয়ে থাকা আটশ’ বাড়ির নয় হাজার ঘর দেখতে একদিন যথেষ্ট নয়। এক সময় এই বিশাল প্রাসাদে শ’য়ে শ’য়ে রানী, উপপত্নী, দাসী আর খোঁজা প্রহরীর মধ্যে একমাত্র পুরুষ সম্রাটই রাত্রিবাস করতেন। ১৯২৪ সালে শেষ সম্রাট পুয়ি নিষিদ্ধ নগরী ত্যাগ করেন এবং তারপর প্রজাতান্ত্রিক সরকার এই প্রাসাদকে প্রেস মিউজিয়াম হিসেবে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়।
ম্যালেরিয়া থেকে রক্ষা করেছিল যে গাছ
সিনকোনা (Cinchona) Rubiaceae গোত্রের চিরসবুজ উদ্ভিদ। এর অনেকগুলি প্রজাতি বলিভিয়া থেকে কলম্বিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত অ্যান্ডিজ (Andes) উচ্চভূমিতে জন্মে। সিনকোনার প্রজাতি সংখ্যা প্রায় ৩৮; পত্রবিন্যাস বিপ্রতীপ, ফুল গুচ্ছবদ্ধ, গোলাপি বা সাদা, কখনও সুগন্ধি। সিনকোনা ম্যালেরিয়া ও অন্য কয়েক ধরনের জ্বরের ঔষধের উৎস। এই জাতীয় গাছে অন্যান্য ক্ষারীয় পদার্থও (alkaloid) আছে, যেগুলিকে একক বা মিশ্র হিসেবে টোটাকুইনা (totaquina) বলা হয়। এসব দ্রব্য কিছুটা ভেষজ গুণসম্পন্ন। সিনকোনার বাকল থেকে প্রাপ্ত প্রায় ৩০টি চিহ্নিত রাসায়নিক দ্রব্যের মধ্যে কুইনাইন সর্বোত্তম, তারপর ক্রমান্বয়ে কুইনিডাইন, সিনকোনিডাইন, সিনকোনাইন ইত্যাদি। সিনকোনার নামকরণ পেরুর সিনকোন রাজ্যের রানীর স্মরণে। জনশ্রুতি আছে, এই গাছের বাকল থেকে তৈরি ঔষধে তিনি ১৬৩৮ সালে জ্বর থেকে আরোগ্য লাভ করেন। আমেরিকার আদিবাসীরা এই গাছের ভেষজ সম্পর্কে অবহিত ছিল। আমেরিকা থেকে স্পেনে এবং তারপর মিশনারিদের মাধ্যমে এই গাছের ছালের জ্বরনাশক গুণাবলির সংবাদ এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীর অঞ্চলে পৌঁছায়। ভারতের সার্ভেয়ার জেনারেল স্যার ক্লিমেন্টস মার্কহাম (Sir Clements Markham) ১৮৬২ সালে বাংলায় সিনকোনা চাষ প্রবর্তন করেন। এ সময় বাংলার কোনও কোনও অঞ্চলে ম্যালেরিয়া ও কালাজ্বরের ব্যাপক প্রকোপ ছিল। দার্জিলিং, আসাম ও সিকিমে সিনকোনা চাষের উপযোগী জলবায়ু, মাটি ও ভূখণ্ড থাকায় এসব স্থানে ১৮৭০ দশকে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে কয়েকটি সিনকোনা বাগান গড়ে ওঠে। দার্জিলিং-এ গড়ে ওঠে সিনকোনার কারখানা। এখানে তিন প্রজাতির সিনকোনা চাষ হতো লাল বাকল, Cinchona succirubra; হলুদ বাকল, C. ledgeriana এবং বাদামি বাকল, C. officinalis। দার্জিলিং কারখানায় সিনকোনা ছাল থেকে জ্বরনাশক মিশ্র ও কুইনাইন দুটিই উৎপন্ন হতো। ১৯০৫ সাল নাগাদ ভারত কুইনাইন উৎপাদনে স্বনির্ভর হয়ে উঠেছিল। তারপরই ভারত থেকে সিনকোনা ও কুইনাইন রপ্তানি শুরু হয়। রোগবিষয়ক ইতিহাসবিদদের মতে কুইনাইনের কল্যাণেই বাংলা ম্যালেরিয়া থেকে রক্ষা পেয়েছিল। লোকদের ম্যালেরিয়া থেকে আরোগ্যের জন্য শহর ও গ্রাম সর্বত্রই যাতে কুইনাইন সহজে পৌঁছায় সেজন্য সেটি নামমাত্র মূল্যে ডাকঘরের মাধ্যমে বিলি করা হতো।
বর্তমানে সিনকোনাজাত কুইনাইনের বিকল্প হিসেবে উদ্ভাবিত হয়েছে আধুনিকতর কয়েকটি কৃত্রিম ঔষধ। তবে বাংলাকে দেওয়া দার্জিলিং-এর সিনকোনার সেবা দেশের স্বাস্থ্যরক্ষার ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় অধ্যায় হয়ে আছে।
হিমালয় জয়ের পথ
হিমালয় জয়ের নেশায় মানুষ বেরিয়ে পড়ে ঘর থেকে। বেশিরভাগ পর্বতারোহী ভিড় জমান নেপালে। সেখানে সারাবছরই চলে পর্বতারোহণের পালা। বর্ষার পর সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাস ভালো সময়। তবে পর্বতারোহণের সবচেয়ে ভালো সময় মে, জুন ও অক্টোবর মাস। নেপালে হিমালয়ের ট্রেকিং রুটগুলো সাধারণত হয় কোনও নদী বা উপত্যকাকে অবলম্বন করে এবং পাহাড়ের ঢালে গ্রামগুলোর মধ্য দিয়ে। এরই ওপর নির্ভর করে নেপাল হিমালয়কে মোটামুটি কয়েকটা অঞ্চলে ভাগ করা যায়। যেমন- আপি সইপাল, কর্ণালী, ভেরী, কালী গণ্ডকি, মারসাণ্ডি, বুড়িগণ্ডুকি, ত্রিশূলি, সোলোখুম্বু, অরুণ ও তামুর উপত্যকা।
সাধারণত নেপাল হিমালয়ে যে স্থানগুলো দিয়ে ট্রেকিং অভিযান করা যাবে তার কয়েকটি হল যেমন-
জুমলা রারা হ্রদ জুমলা : এখানে হাঁটা পথ- জুমলা (২৩৫০ মি.), পাদমারা (২৯০০ মি.) অনামা গিরিবর্ত্ম (৩৪০০ মি.), বুমরা (২৮৫০ মি.), চৌথা (২৫০০ মি,), গুরচি লাগনা পাস (৩৪৫০ মি.), পিনা (২৪০০ মি.), ঝাড়ি (২৫০০ মি.), রারা হ্রদ ঝাড়ি, গুরচি লাগনা পাস, চৌথা, জুমলা। খাবারদাবার জুমলা থেকে নেয়াই ভালো। পথের গ্রামগুলোতেও যৎসামান্য প্রয়োজনীয় রসদ পাওয়া যায়। মালবাহক জুমলা থেকে নিতে হবে। পথের ধারের গ্রামগুলোতে খাবার পাওয়া যায়। রারা হ্রদের ধারে তাঁবু করে থাকতে পারলে ভালো হয়।
কাঠমান্ডু থেকে গোরখা হাঁটা পথে : গোরখা (১৬৪০ ফুট), শিউলিবাজার (১০০০ ফুট), গানখু-ঝাউবাড়ি (৩০০০ ফুট), মিলিম-মানড্রে (৪৫০০ ফুট), ধারপক (৫০০০ ফুট), তিসরি খরকা (৫৫০০ ফুট), আগারি খরকা (৮৫০০ ফুট), ফেদি রুপিনা ভঞ্জং (১৬৮০০ ফুট), ক্যাম্পিং সাইট (১৩০০ ফুট), জঙ্গল ক্যাম্প-১ (১১০০০ ফুট), জঙ্গল ক্যাম্প-২, পানসাঙ-সিরতিবাস (৪৫০০ ফুট), জগত-তাতোপানি-খোলেবেনসি (৩৫০০ ফুট), মাচ্ছিখোলা-সতীখোলা (২৫০০ ফুট), আরুঘাট (১৬৪০ ফুট), কয়াভঞ্জং (২০০০ ফুট), কানচোক-গোরখা।
রাত্রিবাস : হোটেল/লজ-গোরখা, ফেলেবেনসি, সতীখোলা, কয়াভঞ্জং।
তাঁবু : সব ক্যাম্পিং ও সাইটের তাঁবুতে থাকা। অথবা অন্যত্র গ্রামের বাড়ি।
খাবার : বীরগঞ্জ ও গোরখা থেকে নেয়া ভালো। পথিমধ্যে গোরখা থেকে বারপক ও সিরতিবাস থেকে গোরখা পর্যন্ত সব গ্রামেই ন্যূনতম প্রয়োজনীয় রসদ পাওয়া যায়। মালবাহক/পথ প্রদর্শক গোরখা বা বারপক থেকে নিতে হবে।
হিমালয়ে যাওয়ার অন্যান্য ট্রেকিং রুটগুলো হল- জুমলা কাঙমারা লা ফোকসামদো, হ্রদ সে সালদুঙ, তারাপ, জুকল। দুমরে মারসাণ্ডি উপত্যকা থোরং লা কালী গণ্ডকি, উপত্যকা পোখরা। পোখরা ধৌলগিরি বেসক্যাম্প, ফ্রেঞ্চ পাস, হিলন ভ্যালি, থাপা পাস, মুক্তিনাথ, খোরাং পাস, মারসাণ্ডি, ভ্যালি লারকে লা শ্যামগাঁও, বুড়িগণ্ডক, ভ্যালি গোরখা।
ল্যাংটাং উপত্যকা, গানজা-লা হেলেম্বু উপত্যকা। অরুণ-বরুণ ও মাকালু বেস ক্যাম্প। লুকনা চুকুং কালা পাথর গোকিও হ্রদ লুকলা, স্বর্ণচূড়ার প্রাঙ্গণে কাঞ্চনজঙ্ঘা বেস ক্যাম্প। এসব রুট হয়ে হিমালয়ে উঠতে হলে নেপালি ভাষা ভালোভাবে জানা দরকার। বহুল প্রচলিত রুটে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে অনেক উচ্চতর স্থান পর্যন্ত। তাই এই সব রুটে মালপত্র বহনের দরকার হয় না। হিমালয়কে বিশদভাবে জানার জন্য আছে অনেক বইপত্র। যা কিনা ট্রেকিং করার আগে নিয়ে নিলে ভালো হয়। এতে করে অনেকটা সুবিধা হবে।