দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শাহবাগের ‘জয় বাংলা’ স্লোগানকে অনেকেই দলীয় বলে মনে করছেন। কিন্তু আসলে এটি স্বাধীনতার এবং সার্বজনীন স্লোগানে পরিণত হয়েছে। একদিন এই স্লোগানেই এদেশের সাধারণ আপামর জনতা স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, আজকে আবার এদেশকে রাজাকারমুক্ত করার জন্য এই স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করছে।
জয় বাংলা স্লোগানের কারণে শাহবাগের আন্দোলনকে অনেকেই আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে গুলিয়ে ফেলতে চাচ্ছেন। আসলে কি তাই? না। একাত্তরে এদেশ স্বাধীন হয়েছিল এই স্লোগানের ভিত্তিতে। তখন এদেশের আপামর জনসাধারণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ‘জয় বাংলা’, ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা তোমার আমার ঠিকানা’, ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধর-বাংলাদেশ স্বাধীন করো’, এসব স্লোগান এই বাঙালি জাতিকে সেদিন স্বাধীনতায় উদ্বুদ্ধ করেছিল। আজকের প্রেক্ষাপটও অনেকটা তাই। এখন হয়তো এই স্লোগান আওয়ামীলীগ দলীয় স্লোগান হিসেবে ব্যবহার করে। কিন্তু তাই বলে আওয়ামীলীগ এই স্লোগান কিনে নেইনি। আর তাই এই স্লোগান দেওয়ার অধিকার রয়েছে প্রতিটি বাঙালির। ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ- জীবন বাংলাদেশ আমার মরণ বাংলাদেশ’ এটি বর্তমান বিএনপির দলীয় সঙ্গীত। তাই বলে কি এই সঙ্গীত বিএনপি কিনে নিয়েছে। এটি কি আমরা শুনতে ও বলতে পারি না? ঠিক তেমনিভাবে ‘জয় বাংলা’ স্লোগাও আমাদের জন্য সার্বজনীন স্লোগান। এটি আমরা যখন খুশি তখন- যেভাবে খুশি, সেভাবে ব্যবহার করতে পারি।
আর তাই জাতিকে উদ্বুদ্ধ করতে এই স্লোগানের বিকল্প নেই। তাই এটিকে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে না ভেবে সার্বজনীন স্লোগান হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। স্বাধীনতার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে তরুণ প্রজন্ম যেভাবে আজ জেগে উঠেছে, তাদের পাশে সকলকে দাঁড়াতে হবে- দলমত নির্বিশেষে। কারণ এই তরুণরাই আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম। তারাই এদেশের ভবিষ্যত চালিকা শক্তি। তারা আজ যেভাবে জেগে উঠেছে- তাতে জাতি একদিন রাজাকার মুক্ত দেশ পাবে- এই প্রত্যাশা আমাদের সকলের।