দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানবতাবিরোধী অপরাধে অপরাধী মীর কাসেম আলীকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। এ সময় কাঠগড়ায় উপস্থিত মীর কাসেম আলী রায় শুনে উত্তেজিত হয়ে পড়েন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও দিগন্ত মিডিয়া করপোরেশনের চেয়ারম্যান মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে দু’টি অভিযোগে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। রায় ঘোষণার পর পর কাঠগড়ায় উপস্থিত উত্তেজিত মীর কাসেম উত্তেজিত হয়ে পড়েন। উত্তেজিত মীর কাসেম আলী আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বলেন, ‘আরে শয়তান- এটি মিথ্যা ঘটনা, মিথ্যা স্বাক্ষী, কালো আইন, ফরামায়েশি রায়। সত্য প্রতিষ্ঠিত হবে, মিথ্যা পরাজিত হবেই। শিগরই শিগরই…।’
মীর কামেম এ সময় আঙুল উঁচিয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় এসব কথা এক নাগাড়ে বলতে থাকেন। তখন দায়িত্বরত পুলিশ মীর কাসেম আলীকে নিচে নামিয়ে আনেন। পরে তাকে ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
আদালত রায়ে ১১ ও ১২ নম্বর অভিযোগে অভিযুক্ত করে মীর কাসেমকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
এই ১১ নং অভিযোগ হলো: শহীদ জসিম উদ্দিনসহ ৬ জনকে অপহণের পর নির্যাতন করা হয়। এতে জসিমসহ ৫ জন নিহত হন এবং পরে লাশ গুম করা হয়।
১২ নং অভিযোগ হলো: জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ ৩ জনকে অপহরণ করে নির্যাতন করা হয়। এতে ২ জন নিহত হন। তাদের লাশ গুম করা হয়।
এছাড়া ২ নম্বর অভিযোগে মীর কাসেম আলীকে ২০ বছর, ৩ নম্বরের অভিযোগে ৭ বছর, ৪ নম্বরের অভিযোগে ৭ বছর, ৬ নম্বরের অভিযোগে ৭ বছর, ৭ নম্বরের অভিযোগে ৭ বছর, ৯ নম্বরের অভিযোগে ৭ বছর, ১০ নম্বরের অভিযোগে ৭ বছর ও ১৪ নম্বরের অভিযোগে ১০ বছরসহ মোট ৭২ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে ১, ৫, ৮ এবং ১৩ নম্বর অভিযোগে মীর আসেম আলীকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এটি ১১ তম রায়। এর আগে গত বুধবার জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত।