দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এয়ার এশিয়ার নিখোঁজ বিমানের অনুসন্ধান মেলেনি এখনও। আর সন্ধান না মেলায় বিমানে আরোহনকারীদের আত্মীয় স্বজনদের উদ্বেগ বাড়ছে।
গতকাল ইন্দ্রোনেশীয়া থেকে এয়ার এশিয়ার কিউজেড৮৫০১ বিমানটি সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে ১৬২ যাত্রী নিয়ে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের ১ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত এয়ার এশিয়ার বিমানটির কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। বিমানটির খোঁজে জাভা সাগরে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে। তবে রাত নেমে আসায় গতকালকের মতো অনুসন্ধান স্থগিত করা হয়। আবহাওয়া ভালো থাকলে আজ সোমবার সকাল হতে পুনরায় অনুসন্ধান শুরু হবে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, ১৬২ জন আরোহী নিয়ে এয়ার এশিয়ার ফ্লাইট কিউজেড৮৫০১ ইন্দোনেশিয়া হতে সিঙ্গাপুরে যাচ্ছিল। স্থানীয় সময় সকাল ৫টা ২০ মিনিটে সুরাবায়ার জুয়ানডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে ফ্লাইটটি ছেড়ে যায়। সকাল সাড়ে ৮টায় বিমানটির সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা থাকলেও বিমানটি আকাশে ওড়ার এক ঘণ্টার মধ্যে ওই বিমানের সঙ্গে জাকার্তা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তথ্য মতে, ওই সময় বিমানটি জাভা সাগরের ওপর দিয়ে যাচ্ছিল।
বিমানটিতে যাত্রী ছিল ১৫৫ জন। এদের মধ্যে আবার ১৭ জনই শিশু। কেবিন ক্রু ৫ জন। ছিলেন পাইলট ও সহকারী পাইলট।
আরোহীদের মধ্যে ১৫৫ জনই ইন্দোনেশীয়ার নাগরিক। ৩ জন দক্ষিণ কোরিয়ার ও সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সের একজন করে নাগরিক রয়েছেন ওই বিমানটিতে।
এয়ার এশিয়া তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে বলেছে, ‘বিমানটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে পাইলট বৈরী আবহাওয়ার কারণে জাকার্তা এয়ার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণকক্ষের নিকট গতিপথ পরিবর্তন করে আরও উঁচু দিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিল।’
সংবাদ মাধ্যমে খবরে বলা হয়, বিমানটি চলছিল ৩২ হাজার ফুট ওপর দিয়ে। কিন্তু আকাশে প্রচুর মেঘ থাকায় তা এড়াতে বিমানের চালক ৩৮ হাজার ফুট ওপর দিয়ে চালানোর জন্য নিয়ন্ত্রণকক্ষের অনুমতি চেয়েছিলেন।
বিমানটি খোঁজ পেতে গতকাল থেকেই ব্যাপক তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এদিকে আরোহীদের স্বজনরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। তারা বার বার ওই এয়ারওয়েজের কর্তৃপক্ষের কাছে ধরনা দিচ্ছেন।
উল্লেখ্য, মালয়েশীয়ার একটি বিমান নিখোঁজ হওয়ার পর আজও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।