দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সুখী বা অসুখীর সংজ্ঞা খুঁজে বের করা বড়ই কঠিন কাজ। তথাপিও সেটি করা হয়েছে। ২০১৪ এর করা এক জরিপে বলা হয়েছে ফিজি হলো বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ। অপরদিকে সবচেয়ে অসুখী দেশ হলো ইরাক।
ফিজির মানুষগুলো এভাবেই তাদের সুখী সংজ্ঞার প্রকাশ ঘটান
গ্যালাপের বছর শেষের জরিপে বলা হয়েছে, বিশ্বে সুখী মানুষের সংখ্যা বিগত বছরের তুলনায় এবার শতকরা দশভাগ বেড়েছে। ওই জরিপে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হলো ফিজি। অপরদিকে নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে জীবন দুর্বিষহ হওয়া ইরাক হলো বিশ্বের সবচেয়ে অসুখী দেশ।
যেভাবেই দেখা যাবে সেভাবেই মনে হতে ফিজির মানুষগুলো সুখী
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক এই জরিপ সংস্থা গ্যালাপ ৬৫টি দেশে ৬৪ হাজার লোকের মধ্যে এই জরিপ পরিচালনা করে।
গ্যালাপের ওই জরিপে বিশ্বজুড়ে শতকরা ৭০ ভাগ মানুষ বলেছেন, তারা তাদের জীবন নিয়ে সুখী। এদের মধ্যে আবার ৪২ শতাংশ মনে করেন যে, তাদের দেশের অর্থনীতি আগামী বছরে উন্নতির মুখ দেখবে।
ফিজির মানুষ সবখানেই সুখী
সংবাদ মাধ্যম বলেছে, পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ফিজি। জরিপে দেখা যায়, সেখানকার শতকরা ৯৩ ভাগ মানুষ নিজেদের সুখী মনে করেন।
ইরাক অসুখীর প্রধান কারণ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। প্রতিনিয়তই ঘটছে এমন
অপরদিকে বিদেশী আগ্রাসন, বিরামহীন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্যে নিপতিত ইসলামী রাষ্ট্র ইরাক সবচেয়ে অসুখী হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। জরিপে সেদেশের মানুষ এমন কথায় বলেছেন।
সন্ত্রাসী দলগুলো ইরাকে বাসা বেঁধেছে
আবার গোটা এলাকার হিসাব অনুযায়ী সবচেয়ে সুখী হলো আফ্রিকা অঞ্চলের মানুষ। সেই হিসেবে তারপরেই রয়েছে এশিয়া। জরিপে বলা হয়েছে আফ্রিকার ৮৩ শতাংশ মানুষ সুখী। অপরদিকে ওই জরিপে বলা হয়েছে, এশিয়ায় সুখী মানুষের হার ৭৭ শতাংশ।
কি শিশু, কি মহিলা কারই যান-মালের নিশ্চয়তা নেই
গ্যালাপের ওই জরিপে আরও বলা হয়েছে যে, সবচেয়ে অসুখী মানুষের বসবাস পশ্চিম ইউরোপে। পশ্চিম ইউরোপে মাত্র ১১ শতাংশ মানুষ নিজেদের সুখী মনে করে থাকেন বলে জরিপে বলা হয়েছে।
তবে একটি আশার কথা হলো, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যাদের ওপর জরিপ চালানো হয়েছে তাদের প্রায় অর্ধেক মানুষ বলেছেন, তাদের মতে ২০১৪ সাল থেকে ২০১৫ সাল ভাল যাবে। এদের মধ্যেও ২০১৫ নিয়ে সবচেয়ে আশাবাদী আফ্রিকা অঞ্চলের মানুষ। তারপরে আছে এশিয়ার মানুষ। সবচেয়ে কম আশার কথা শোনা গেছে পশ্চিম ইউরোপের মানুষের মুখ থেকে। আবার দেশ হিসাবে ২০১৫ সাল নিয়ে সবচেয়ে বেশি আশাবাদ ব্যক্ত করেছে নাইজেরিয়ার মানুষ। আবার সবচেয়ে হতাশার কথা ব্যক্ত করেছেন লেবাননের মানুষ।
জরিপের উদ্বৃতি দিয়ে ওই খবরে আরও বলা হয়েছে, নিজের দেশের জন্য লড়াই করতে রাজি কোন্ দেশ? এমন এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতি ৫ জনের মধ্যে ৩ জনই বলেছেন, নিজের দেশের জন্য লড়াই করতে তারা প্রস্তুত আছেন। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার দেশগুলো। সিরিয়াল অনুযায়ী তাদের পরেই রয়েছে এশিয়া।
গ্যালাপের ওই জরিপে বিশ্বজুড়ে কতখানি প্রভাব পড়ে এখন সময়ই বলে দেবে। নতুন বছর সবার জন্যই মঙ্গল বয়ে আনুক এটিই আমাদের সকলের কামনা।