দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অর্থ আছে বলে যা খুশী তা করা যায় না। এর প্রমাণও পেলেন এক ধনাঢ্য ব্যবসায়ী। বাঘের মাংস ভক্ষণ করায় ওই ব্যবসায়ীর ১৩ বছরের জেল হয়েছে।
কথায় বলা হয়ে থাকে ‘টাকা থাকলে বাঘের চোখ মেলে’। কিন্তু তাই বলে টাকা থাকলেই যা খুশী তাই করা যায় না। টাকা আছে বলে আপনি বিপন্ন প্রজাতির কোনো পশু কিনে এনে ভক্ষণ করবেন তা হতে পারে না। চীনের এক ধনাঢ্য ব্যবসায়ী এমন কাণ্ড করে শেষ পর্যন্ত ফেঁসে গেছেন। ওই ব্যবসায়ীর ১৩ বছরের জেল দিয়েছে আদালত।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিপন্ন প্রজাতির বাঘের মাংস খাওয়া ছাড়াও এর রক্ত দিয়ে মদ তৈরি করে পান করার অপরাধে চীনের ওই ধনাঢ্য ব্যবসায়ীকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিনহুয়া জানিয়েছে, ‘জু’ নামের ওই ব্যক্তি বাঘ কিনতে গত বছর ৩ বার চীনের দক্ষিণাঞ্চলের গুয়ানজু প্রদেশে যান। সেখান থেকে ৩টি বাঘ কিনে বন্ধুরাসহ নিজ এলাকা গুয়ানজিতে আসেন। ওই ব্যক্তি এবং তার বন্ধুরা বাঘগুলো মারার দৃশ্যও উপভোগ করেন। একটি বাঘকে নাকি মারা হয় ইলেক্ট্রিক শক দিয়ে।
এরপর বন্ধুদের নিয়েই বাঘের মাংস খান জু। কেও এ সম্পর্কে জানতে চাইলে একে গরু, ঘোড়া কিংবা বড় বেড়ালের মাংস বলে চালিয়ে দেওয়ার জন্য সহযোগীদের উপদেশ দেন তিনি।
কিন্তু বিপত্তি ঘটে অন্যখানে। কারণ বাঘের মাংস খাওয়ার এমন আয়োজনের বিষয়টি তার আরেক প্রতিবেশি দেখে ফেলেন। ওই প্রত্যক্ষদর্শী ঘটনাটি পুলিশকে জানালে পুলিশ জুকে গ্রেফতার করে।
পরে পুলিশের দায়ের করা মামলায় ২০১৪ এর এপ্রিলে জু’র বিরুদ্ধে রায় হয়। তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। জু’র আইনজীবি ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলও করেন। গত সপ্তাহে আদালত আপিল খারিজ করে তার কারাদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছে।