দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বোরকা নিষিদ্ধ করা হয়েছে চীনের জিনজিয়াং রাজ্যে! এটি একটি মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা। অনলাইন সংবাদ মাধ্যম এমন খবর দিয়েছে।
ধমুসলিম অধ্যুষিত জিনজিয়াং রাজ্যে সম্প্রতি বোরকা পরা নিষিদ্ধ করেছে চীন সরকার। অনলাইন সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করা এবং নির্মূলের লক্ষ্যেই মূলত জিনজিয়াংয়ের রাজধানী উরামকিতে নারীদের বোরকা পরার ওপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। জানা যায়, জিনজিয়াংয়ের রাজধানী উরামকিতে অন্তত ৩১ লাখ মানুষের বসবাস।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে আারও বলা হয়, এই জিনজিয়াং হলো একটি মুসলিম অধ্যুষিত রাজ্য। একে উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের ঘাঁটি বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে। এই উইঘুর সম্প্রদায়ের মানুষ মূলত তার্কি ভাষী। তবে এই রাজ্যে হ্যান চাইনিজরাও বসবাস করে। গতবছর যখন মালয়েশীয়ান এয়ারলাইনসের বিমান নিখোঁজ হয় তখন বলা হয়েছিল এই উইঘুরে আটকে রাখা হয়েছে নিখোঁজ বিমানটি। যদিও এর পর আর কোনো কিছু শোনা যায়নি।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার এক প্রতিবেদনের উদ্বৃতি দিয়ে সম্প্রতি বলা হয়েছে, ‘উইঘুর নারীদের জন্য বোরকা কোনো ঐতিহ্যগত পোশাক নয়। আর তাই পাবলিক প্লেসে তাদের বোরকা পরা নিষিদ্ধ করা হচ্ছে, ঠিক যেমনটা বেলজিয়াম এবং ফ্রান্সে বোরকা নিষিদ্ধ।’
সাম্প্রতিক সময়ে চীনে সংঘাত-সংঘর্ষের হার মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়েই চলেছে। ক্রমবর্ধমান এই সন্ত্রাসকে ‘ইসলামিক সন্ত্রাস’ বলেই অভিহিত করে আসছে বেইজিং। বিশেষজ্ঞরা এমনও বলছেন, ‘উইগার এবং হ্যান চাইনিজদের সাম্প্রদায়িক লড়াই-ই এই সন্ত্রাসের মূল কারণ হতে পারে।’
সংবাদ মাধ্যম বলেছে, অপরদিকে চীন প্রশাসন এসব সংঘাতের জন্য উইঘুর সম্প্রদায়কেই দায়ী করছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, উইঘুরদের ধর্মপালনের অধিকার খর্ব করায় সেখানে অনিবার্য সংঘাত সৃষ্টি করছে। আবার বামপন্থীদের কঠোর রাজনৈতিক অবস্থানের কারণেও মুসলিম তরুণদের কট্টরপন্থী হতে বাধ্য করছে বলে মনে করছেন মানবাধিকার সংগঠকরা।