দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমান্ত চুক্তি? এতো কিছুর পরও যেনো একটু প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে। যদিও শেষ ধাপে এসে গেছে। এখন শুধুই বাস্তবায়ন।
ভারতের মন্ত্রীসভায় বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমান্ত চুক্তি অনুমোদনের পর এবার সত্যি সত্যিই বিষয়টি মীমাংসার পর্যায়ে চলে এসেছে। যেটি দীর্ঘ ৪৭ বছরেরও আলোর মুখ দেখেনি।
ভারত আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রই শুধু নয়, আমাদের দেশের জন্মকালীন ভারতের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কিন্তু বেশ কিছু বিষয় দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে রয়েছে। যেমন ফারাক্কা চুক্তি থাকলেও আমরা শুষ্ক মৌসুমে পানি পায় না। আবার সীমান্তে যখন তখন পাখির মতো বাংলাদেশের নাগরিকদের হত্যার বিষয়টিই একটি উদ্বেগের বিষয়। তিস্তা চুক্তি নিয়েও রয়েছে দীর্ঘদিনের মতদ্বৈধতা। এমন পরিস্থিতিতে গত মঙ্গলবার ভারতের মন্ত্রীসভায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত চুক্তি অনুমোদন পেয়েছে। এখন এটি তাদের পার্লামেন্টে পাস হলেই পুরো প্রক্রিয়া সমাপ্ত হবে। তারপর থাকবে বাস্তবায়নের বিষয়।
বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াটি বাংলাদেশের জন্য খুব একটা সুখকর নয়। ফারাক্কা চুক্তি থাকলেও বাংলাদেশ শুষ্ক মৌসুমে পানি পায় না। বর্ষায় অতিরিক্ত পানির কারণে বন্যা দেখা দেয় অথচ শুষ্ক মৌসুমে পানির জন্য হাহাকার পড়ে যায়।
আসামকে রেখেই বহুল আলোচিত বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন হতে চলেছে। এ সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনী বিলটি অনুমোদন করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য এই বিল গতকাল বুধবার ভারতের রাজ্যসভায়ও পাস হয়েছে। এখন শুধু এটি বাস্তবায়ন।
জানা যায়, বিজেপি ও কংগ্রেসের মতৈক্যের ভিত্তিতেই পার্লামেন্টে বিলটি পাসের সম্ভাবনা সৃষ্টি হওয়ায় চুক্তি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চলা দীর্ঘদিনের টানাপোড়েন অবসান হতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভারতীয় পার্লামেন্টে সীমান্ত বিলটি চূড়ান্তভাবে পাস হওয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরসূচি শীঘ্রই চূড়ান্ত করা হবে। তবে আগামী জুন মাসে নরেন্দ্র মোদী ঢাকা আসবেন বলে কূটনৈতিক সূত্র বলেছে। বিষয়টি শুধু পাসই নয় বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যেকার স্থল সীমান্ত চুক্তি সমাপ্তি ঘটবে। দুটি বন্ধু প্রতিম দেশের মধ্যে আরও সম্পর্কের উন্নতী ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে।