দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মন খুলে হাসার কথা আমরা শুনেছি কিন্তু তাই বলে মন খুলে কাঁদার জন্য হোটেল কক্ষ! এমন কথা আমরা কখনও শুনিনি। আজ এমনই একটি হোটেল কক্ষের গল্প রয়েছে আপনাদের জন্য।
অনেক সময় চিকিৎসকরা বলেন, প্রিয়জনের মৃত্যু কিংবা কোনো শোকে অনেক সময় মানুষ হতভম্ব হয়ে যান। অধিক শোকে অনেকেই পাথর হয়ে যান। না কাঁদেন, না হাসেন। একেবারে হ্যাং হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। কিন্তু এবার একটি সলুশন পাওয়া গেলো। মন খুলে হাসার জায়গা এবার আবিষ্কৃত হয়েছে। যেখানে যে কেও হাপুস নয়নে যতো ইচ্ছা কাঁদতে পারবেন। এজন্য আপনাকে চলে যেতে হবে জাপানের রাজধানী টোকিওতে। সেখানে একটি হোটেলে মন খুলে কাঁদার জন্য পৃথকভাবে একটি ঘর ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। ভাড়া নিয়ে কাঁদো যত খুশি।
প্রকাশিত এক খবরে জানা যায়, ‘দ্য মিতসু গার্ডেন ইয়তসুয়া হোটেল’ নামে টোকিওর ওই হোটেলটিতে কান্নার জন্য বিশেষ কক্ষ রাখা হয়েছে। সেই কক্ষে চোখে জল আনার মতো চলচ্চিত্র, চোখের মাস্ক এমনকি বিলাসী টিস্যুও! যাঁরা বই পড়তে পড়তে আবেগে কাঁদেন, তাঁদের জন্য আবার রাখা হয়েছে জাপানি ভাষায় লেখা, মানগা কমিকসের বই। চোখের পানি মোছার জন্য রাখা হয়েছে কাশ্মীরী শালের মতো নরম টিস্যু। আরও রাখা হয়েছে মুখমণ্ডলের প্রসাধনী তোলার ব্যবস্থাও।
সংবাদ মাধ্যমকে দ্য মিতসু গার্ডেন ইয়তসুয়া হোটেল কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘নারীদের মানসিক চাপ কমাতে এবং আবেগজনিত সমস্যা কাটিয়ে উঠতে এই কক্ষগুলো ভাড়া দেওয়া হবে। এই কক্ষে নারীরা নীরবে মন খুলে কাঁদতে পারবেন।’ এই কক্ষ ব্যবহার করতে প্রতি রাতের জন্য দিতে হবে ৮৩ ডলার।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, কক্ষগুলোতে দেখার মতো যেসব চলচ্চিত্র রাখা হয়েছে তারমধ্যে রয়েছে, ‘ফরেস্ট গাম্প’, দক্ষিণ কোরিয়ার ‘এ মোমেন্ট টু রিমেমবার’ ও জাপানি ছবি ‘আ টেল অব মারি অ্যান্ড থ্রি পাপিস’ (২০০৪ সালে চুয়েতসু ভূমিকম্প থেকে রক্ষা পাওয়া এক কুকুর ও ছানাদের কাহিনী নিয়ে নির্মিত ছবি)। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইন