দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পাকিস্তানে দাবদাহে মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে সাধারণের জীবন-যাপন। সাম্প্রতিক এই দাবদাহের জন্য বিদ্যুৎ কোম্পানিকে দায়ি করা হচ্ছে।
পাকিস্তানে তীব্র দাবদাহে গত কয়েকদিনে এক হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড, বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও রোজা পালনের সময় তীব্র গরমে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে মানুষের মৃত্যু ঘটছে। আবার পানিশূন্যতায় দরিদ্র, বৃদ্ধ, শিশু এবং গৃহহীন মানুষের মৃত্যুর হার ক্রমেই বাড়ছে। এসব মৃত্যুর ঘটনার দায় একটি বিদ্যুৎ কোম্পানির- এমন দাবি করেছে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, কে-ইলেকট্রিক নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান করাচিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। পাকিস্তানের বর্তমান দুর্যোগের জন্য এই কোম্পানিটিকেই এক বিবৃতিতে দায়ী করেছে ওই প্রতিষ্ঠানটি। তাদের দাবি- প্রতিষ্ঠানটির অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও অতিরিক্ত মুনাফা লাভের চেষ্টাই এতো মানুষ নিহত হওয়ার কারণ। এমনিভাবে বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলতে থাকলে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ারও হুমকি দিয়েছে টিটিপি।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ও সিন্ধুর প্রাদেশিক সরকারও কে-ইলেকট্রিককে দায়ি করছে। এদিকে পাকিস্তানের জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী বলেছেন, ভারতের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণেই এই তাপদাহের আরও অবনতি ঘটেছে। ২০ জুন এই শহরের তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিই এই সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।