দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কবি হওয়াটা কোনো নিয়মনীতির মধ্যে পড়ে না। যে কেও ইচ্ছে করলেই কবি হতে পারেন। তবে তাকে এগিয়ে আসতে হবে। দিনে জুতাসেলাই আর রাতে কবিতা লিখে পুরস্কার পেয়েছেন- এমন একজনের খবর এখন বিশ্বময়।
কবি হয়ে কেও জন্মগ্রহণ করে না। জন্মগ্রহণের পর এক সময় কবি হয়ে ওঠেন। কবি-সাহিত্যিকদের কদর সমাজে কতটা তাও আমাদের জানা। তাঁরা এই সমাজকে অনেক কিছুই দিয়েছেন। এমনই এক কবির খবর ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বময়। সংবাদ মাধ্যমগুলোর খবরের শিরোনাম হয়েছে এক ব্যক্তি তিনি দিনে জুতো সেলাইয়ের কাজ করেন আর রাতে কবিতা লেখায় থাকেন মত্ত। এমন একজন ব্যক্তিত্বকে সমীহ না করে উপায় আছে!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ফয়সালাবাদের ওই ব্যক্তির নাম মুনওয়ার শাকিল। জুতা সেলাই করেন তিনি, সেটিই তার মূল পেশা। কখনওবা করেন সংবাদপত্র ফেরিও। তবে সে পরিচয়ের গন্ডিতেই তিনি সীমাবদ্ধ নন। দিনের আলো নিভে এলেই তিনি হয়ে ওঠেন আশ্চর্য এক মানুষ। দিনের আলোয় যে হাতে তার ধরা থাকে জুতো পালিশ করার ব্রাশ আর সূচ-সুতো। সেই ব্যক্তিই আবার রাতে হাতে তুলে নেন কাগজ-কলম। আর জাদুকরের মতো তার হাতে খেলে যায় কবিতার পংক্তিমালা।
কল্পনাবিলাস নয়, বাস্তবিক অর্থেই জীবন হতে অভিজ্ঞতার আলোকে মুনওয়ার তৈরি করেন তার কাব্যপ্রতিমার শরীর। বই লেখেন তিনি। তবে একটা দুটো নয়, ছ’টি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে তার। আর ছটির পাঁচটিই পেয়েছে কোনো না কোনো পুরস্কার। ফয়জলবাদের মুনওয়ার শাকিল এমনই এক বিস্ময় প্রতিভার নাম। ১৯৬৯ সালে জন্মগ্রহণ করা মুনওয়ার ১৩ বছর বয়স হতেই কবিতা লিখতে শুরু করেন। আজকাল তার কাছে আর শুধু জুতো সেলাই করাতে যায় না, বরং অনেকেই খোঁজ করে তার বইয়ের। তার প্রথম বই প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে।
খুব অল্প বয়সেই বাবাকে হারিয়েছিলেন তিনি। প্রথাগত পড়াশোনা বলতে যা বোঝায় সেসব কোনোদিনই করা হয়ে ওঠেনি মুনওয়ারের। তবে কল্পনার পালক যার চোখের পাতা ছুঁয়ে যায়, তার আর প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা হয়ে ওঠেনি। কিন্তু তাই বলে থেমে নেই মুনওয়ার। এমন একটা পেশার মধ্যেও তিনি কবিতা লেখার মতো এমন এক সাংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে আছেন। সমাজে এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।