দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিজ্ঞান ক্রমেই এগিয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা আরেকটি বড় সাফল্যের খবির দিয়েছেন। তারা বলেছেন, বছর দুয়েকের মধ্যে একজনের দেহে অন্যজনের মাথা প্রতিস্থাপন হবে!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, ইতালি ও চীনের চিকিৎসকের একটি দল এক মানুষের দেহে অন্য মানুষের মাথা প্রতিস্থাপনের পরিকল্পনা আগামী দুই বছরের মধ্যে বাস্তবায়ন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
ইতালিয়ান সার্জন সার্জিও কানাভেরো ও রেন জিয়াওপিং জানিয়েছেন, তারা আগামী দুই বছরের মধ্যে এই পদ্ধতি কার্যকর করার জন্য জোর গবেষণা চালাচ্ছেন। তারা বলেছেন, গবেষণা ও পরীক্ষার পরিকল্পনা অনুযায়ী যদি সবকিছু ঠিকঠাক মতো চলে তাহলে এই অসাধ্য সাধন করা যাবে বলে তারা আশাবাদী।
রেন জিয়াওপিং বলেছেন, ‘অনেক মিডিয়ায় বলা হয়েছে যে, আমরা ২০১৭ সালে এই সার্জারি অবশ্যই করতে পারবো, তবে তা শুধু তখনই সম্ভব হবে যখন ধাপে ধাপে সকল পরীক্ষা ভালো ফলাফল প্রদান করবে’। কানাভেরো এই খবরটি প্রথমে ২০১৩ সালে প্রকাশ করেন। তখন তিনি বলেছিলেন, তাদের এই প্রজেক্ট ২০১৬ সালে সম্পন্ন করা যাবে। কিন্তু বর্তমানে তারা যে সময়ের কথা বলছেন এতে করে সম্ভাবনার প্রদ্বীপ দেখা যাচ্ছে।
তারা আগামীতে যে অপারেশনের জন্য তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন সেখানে রাশিয়ান বংশোদ্ভূত একজন ৩০ বছর বয়সী রোগীর চিকিৎসা করা হবে। ওই ব্যক্তি হফম্যান নামের একটি বিরল রোগের শিকার হয়েছেন। তার এই দুরারোগ্য দূর করার জন্য সার্জারি করা হবে।
রেন জানান, অপারেশন সম্ভবত চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে হেইলুংচিয়াং প্রদেশের হারবিন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এ সঞ্চালিত হবে। এই সার্জারিতে যিনি তার শরীর দান করবে তার বিষয়ে রেন কোন কিছু জানান নি এবং সে এ বিষয়ে নিশ্চিত নন যে সেই ব্যক্তি চীনের কি না।
উল্লেখ্য, চীনে ২০০৭ সালে মানব অঙ্গ ট্রেডিং করা নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়। তবে ট্রান্সপ্ল্যান্টের চাহিদার জন্য অনেকে বাধ্য হয়ে অনুদান এবং অবৈধ বিক্রয় করার জন্য রাজি হয়ে যায়।