দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফ্রান্সের ভয়াবহ হামলার পর সেখানকার মুসলমানরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। গত শুক্রবার অতর্কিত হামলায় শতাধিক লোক নিহত হয়েছে।
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে শুক্রবার রাতের গোলাগুলির পর সেখানকার মুসলমানদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে আই এসের এমন হামলার খবরে মুসলমানদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
জামাল নামে ৪৪ বছর বয়স্ক এক মুসলিম বাসিন্দা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন এই হামলার পর। এর কারণ হলো এমন একটি ঘটনায় মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর কি ধরনের প্রভাব এসে পড়বে সেটা নিয়ে চিন্তিত সবাই। তাদের বক্তব্য এমন- ‘আমরা হামলাকারীদের মতো নই। তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্কও নেই। কিন্তু ফরাসিরা আমাদেরকে আর আপন করে নেবে না।’ চলতি বছরের গোড়ার দিকে শার্লি হেবদো পত্রিকায় চালানো হামলায় ফরাসি নাগরিকেরা জড়িত রয়েছে এটা প্রতীয়মান হওয়ার পর প্রশ্ন ওঠে যে ফ্রান্সে বসবাসরত তরুণ মুসলিমদের জীবনযাত্রায় এর কি কি প্রভাব পড়তে পারে সেটা নিয়ে।
সাফের নামে একজন আলজেরীয় বংশোদ্ভূত মুসলিমও এমন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। মালির এই তরুণী অভিবাসী জানুয়ারি মাসে একটি সুপারমার্কেটে হামলা চলার সময় ভীত সন্ত্রস্ত্র ক্রেতাদেরকে তার দোকানের ভেতর লুকিয়ে রেখে রক্ষা করেছিলেন। সাফের মানুষের জীবন বাঁচাতে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন। কিন্তু এই মুসলিমদেরই একটি দল আবার সৃষ্টিকর্তার নামে মানুষ হত্যা করছে কেনো? জানতে চাইলে সাফের বলেন যে, ‘এর সঙ্গে ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই। সত্যিকারের মুসলমানরা কখনও মানুষ হত্যা করবে না। এমন কাজ ইসলাম কখনও মেনে নেয় না। এটি একটি অপরাধ।’
এভাবেই প্যারিসের হামলার ঘটনার পর সেখানে বসবাসরত মুসলমানরা বেশ আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। কতিপয় বিপথগামী মুসলমান নামধারীদের জন্য আজ প্রকৃত মুসলমানরা নিগৃহিত হচ্ছে।