দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পশুর প্রতি আদর ও মমোত্ববোধ দেখাতে গিয়ে এক গৃহবধুকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে। উটকে চুমু দেওয়ায় এক সৌদিবধূর করুণ হাল হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, একটি উটকে চুমু দেওয়াকে কেন্দ্র করে এক বিশাল লঙ্কাকাণ্ড বেঁধে গেছে সৌদি আরবের এক পরিবারের মধ্যে। ওই পরিবারের শাশুড়ি দাবি করেছেন যে, তার পুত্রবধূ ধর্মীয় এবং সামাজিক ঐতিহ্য লঙ্ঘন করে একটি পশুকে চুমু দিয়েছে। আর তাই স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার জন্য তিনি তার ছেলেকে চাপ দিচ্ছেন।
ওই পুত্রবধূ বলেছেন, উটকে চুমু দিয়ে তিনি কোনো অপরাধ করেননি। তিনি মনে করেন, এটি একটি খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। শাশুড়ির বিরুদ্ধে উল্টো অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত তিনি কোনো সন্তান জন্ম না দেওয়ার কারণে অসন্তুষ্ট শাশুড়ি ঘটনাটিকে অজুহাত হিসেবে তার বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছেন।’
উল্লেখ্য, ওই ঘটনাটি ঘটেছে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের পশ্চিমাঞ্চলের একটি বাড়িতে। ঘটনার পর ওই গৃহবধূ বাবার বাড়িতে চলে গেছেন। ওই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে তিনি স্বামীকে বলেছেন, তিনি ভুল কিছু করেননি। উটটির জন্মদিনে আনন্দিত হয়ে তিনি চুমু দিয়েছিলেন মাত্র।
গালফ নিউজ বলেছে, লোকটি স্ত্রীকে তালাক দিতে মায়ের নির্দেশ উপেক্ষা করে তাকে বাবার বাড়িতে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিলে ঘটনা আরও তীব্র আকার ধারণ করে। তিনিও মনে করেন, তার স্ত্রী কোনো ভুল করেননি।