দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাবা-মা যতো গরীব কিংবা অশিক্ষীত হোক না কেনো সন্তানও অনেক সময় শিক্ষার বদৌলতে অনেক বড় কিছু হয়ে যান। এমনই একটি ঘটনা। চা ওয়ালার মেয়েই হলেন সেই একই কোর্টের জজ!
যাকে সহজ ভাষায় বলা যায়, এক চা ওয়ালার সুখী জীবনের গল্প। এমনই এক চা ওয়ালা যিনি নিজের মেয়েকে বানিয়েছেন বিচারক। যে কোর্ট চত্বরে বাবা চা বিক্রি করেন, সেই আজ কোর্টেরই জজ হলেন তারই মেয়ে!
ওই চা বিক্রেতার নাম সুরেন্দর কুমার। পঞ্জাবের জলন্ধর কোর্ট চত্বরে তিনি দীর্ঘদিন ধরেই চা বিক্রি করেন। এখন তার এক সুখের সময় এসেছে। মেয়েকে নিয়ে তার গর্বের শেষ নেই।
তিনি এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, মেয়ে বড় হয়ে প্রতিষ্ঠিত হবে, এমন স্বপ্ন আর পাঁচজন বাবার মতো তিনিও দেখতেন। তবে কখনও কল্পনাও করেননি মেয়ে বিচারক হবে।
গর্বিত সুরেন্দর আরও বলেন, আমার ভাই তীর্থ রামের কাছেই ছোটবেলায় আমার মেয়ে পড়াশোনা করেছে। নানাভাবে মেয়েকে পড়ালেখায় উদ্ধুদ্ধ করেছে রাম। তাই ভাইকেও এর কৃতিত্ব দিতে চান খেটেখাওয়া অতিসাধারণ পরিবারের সুরেন্দর।
সুরেন্দরের মেয়ে শ্রুতি এক চান্সেই পঞ্জাব সিভিল সার্ভিসেস (জুডিশিয়াল) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে জুডিশিয়াল একাডেমিতে একবছরের প্রশিক্ষণ নিয়ে বিচারক হয়েছেন। সুরেন্দরের বক্তব্য হলো, মেয়ের এই সাফল্যই আমার জীবনের সেরা উপহার।
উল্লেখ্য, শ্রুতি স্টেট পাবলিক স্কুল হতে পাস করে, আইন পড়েন জলন্ধরের GNDU হতে। তারপর পাতিয়ালার পঞ্জাব ইউনিভার্সিটি হতে LLM করেন। তারপর ধাপে ধাপে পৌঁছে যান বিচারক পদে। দারিদ্রতার কষাঘাতে জর্জরিত হয়েও সমাজকে দেখিয়ে দিলেন ইচ্ছা থাকলে সব কিছুই অর্জন করা সম্ভব।