দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবশেষে গোয়েন্দাবৃত্তির অভিযোগে আটককৃত ইসরায়েলি শকুনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর হস্তক্ষেপে ওই পাখিটিকে মুক্তি দেয় লেবানন।
কোনো পাখি কি কখনও গোয়েন্দা হতে পারে? কিন্তু এবার তাই হয়েছে। একটি শকুনকে গোয়েন্দাবৃত্তির অভিযোগে আটক করেছিল লেবানন। বিষয়টি নিয়ে বেশ হই চই পড়ে যায়। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর হস্তক্ষেপে ওই পাখিকে অবশেষে মুক্তি দেওয়া হয়।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আটককৃত শকুনটির পাখার দৈর্ঘ্য ৬ ফুট ৫ ইঞ্চি। ইসরায়েল হতে পাখিটি সীমান্ত অতিক্রম করে লেবাননে প্রবেশ করেছিল। এরপর মঙ্গলবার দেশটির বিনত জিবেইল নামে গ্রামের লোকজন ওই শকুনটিকে আটক করে। শকুনটিকে গোয়েন্দাবৃত্তির অভিযোগ করার একটি কারণ ছিল আর তা হলো, শকুনটির লেজে একটি ট্র্যাকিং ডিভাইস সংযুক্ত থাকায় এটিকে গোয়েন্দা কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে সন্দেহ করা হয়।
প্রকৃত ঘটনা সম্পর্কে সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যে পাখি সংরক্ষণ প্রকল্পের অংশ হিসেবে শকুনটিকে স্পেন হতে নিয়ে আসা হয়েছিল। ইসরায়েল অধিকৃত গোলান হাইটসের গামলা নেচার রিজার্ভে গত একমাস আগে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে বন্যপ্রাণী কর্মকর্তারা জানান। তেল আবিব ইউনিভার্সিটি এই পাখিটিকে অনুসরণ করে আসছিল। সে কারণে পাখিটির লেজে একটি জিপিএস ট্রান্সমিটার সংযুক্ত করে দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, পাখিটির পায়ে একটি ধাতব রিং পরানো ছিল। লেবাননের গ্রামে ধরা পড়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি বন্যপ্রাণী কর্মকর্তাদের নজরে চলে আসে। শুক্রবার ইসরায়েল এক বিবৃতিতে বলে, জাতিসংঘ বাহিনীর বড় ধরনের সহায়তার কারণে লেবানিজদের সঙ্গে একটি সুচিন্তিত অভিযানের মাধ্যমে ইসরায়েল নেচার অ্যান্ড পার্ক অথরিটি কিছুদিন পূর্বে বিনত জিবেইল গ্রামে ধরা পড়া শকুনটিকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়।
তবে লেবাননের গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, শকুনটি গুপ্তচরবৃত্তিতে ব্যবহৃত হচ্ছে না- এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর এটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পাখিটি বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে। সামান্য আহত হওয়ায় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে শকুনটিকে।