দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইতালির ওস্তানায় ২৮ বছর পর নবজাত শিশুর কান্না শোনা গেলো। কারণ দীর্ঘ ২৮ বছর পর কোনও শিশুর জন্ম দেখলো মাত্র ৮৫ জন জনসংখ্যার শহর ওস্তানা!
সেই ৮০-র দশকের পর হতে আর কোনও নবজাত শিশুর কান্না শোনেনি এই শহরটি। দেখেনি কোনও নবজাতকের ফুটফুটে মুখও। আর তাই দীর্ঘ ২৮ বছর পর পাবলোর জন্ম নিয়ে উৎসবে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে গোটা শহর। গত সপ্তাহে ইতালির ওস্তানাবাসীর সেই দীর্ঘদিনের স্বপ্নকে সত্যি করে পৃথিবীর আলো দেখেছে নবজাত শিশু সন্তান পাবলো। দীর্ঘ ২৮ বছর পর কোনও শিশুর জন্ম দেখলো মাত্র ৮৫ জন জনসংখ্যার এই শহর ওস্তানা। বড়ই বিস্ময়কর সে কাহিনী।
সংবাদ মাধ্যমে এমন বিস্ময়কর খবর সকলকে বিস্মিত করে। ইতালির অন্যান্য আরও বেশ কয়েকটি শহর এবং গ্রামের মতোই ক্রমহ্রাসমান জনসংখ্যার শহর ওস্তানায় শিশুর জন্ম হয়, তাই উৎসবের আমেজ ধরা পড়ে পুরো শহরটিতে।
এই উপলক্ষে পার্টি হবে বলে ঘোষণা দিয়ে মেয়র গিয়াকোমো লোম্বারডো বলেছেন, ১৯৭৫ সাল হতে জনসংখ্যা কমতে শুরু করে। ১৯৭৬ হতে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত এখানে মাত্র ১৭ জন শিশুর জন্ম হয়। ১৯৮৭ সালের পর ছোট্ট পাবলোর জন্মের আগে পর্যন্ত আর কোনও শিশুর জন্ম হয়নি এই শহরটিতে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, উত্তর ইতালির এই শহরে রয়েছে একটি দোকান, একটি বার এবং ২টি রেস্তোরাঁ। ভালো চাকরির অফার পেয়ে বৃদ্ধ-বাবা-মাকে রেখেই অনেক যুব সম্প্রদায় শহর ছেড়ে অন্যত্র পাড়ি জমাচ্ছেন।
সে কারণে শহরটিতে জনসংখ্যা হ্রাসের প্রবণতা ঠেকানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন ওস্তানার মেয়র। গত কয়েক দশকে এই প্রবণতা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে দক্ষিণ ইতালির সিসিলি দ্বীপসহ বিভিন্ন স্থানে। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে কোনও কোনও শহরে নাকি প্রত্যেক অধিবাসীর শারীরিক চেক-আপ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অসুস্থতা হতে মৃত্যুর সংখ্যা কমানোর জন্যই মূলত এই উদ্যোগ।
শুধু তাই নয়, সিসিলির একটি শহর আবার নিয়েছে এক নতুন পরিকল্পনা। ২০টি বাড়ি মাত্র ২ ডলারে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। অন্তত ৫০ জন এই সুযোগ পেতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। আর সেই সুযোগটি তারা কাজে লাগাবেন। অর্থাৎ জনসংখ্যা বৃদ্ধির একটি সুযোগ আসবে তাদের হাতে!