দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৫০ কোটি বছরের পুরোনো ডুবোজাহাজে পাওয়া গেলো চোখ-মাথার ফসিল! তবে এই জাহাজটি আবার খুব ভাবাচ্ছে আমেরিকান লাইফসায়েন্স ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীদের।
সাড়াজাগানো এই ‘ডুবোজাহাজটি’ খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছেন আমেরিকান লাইফসায়েন্স ইনস্টিটিউটের প্রখ্যাত বিজ্ঞানীরা। প্রাণিবিজ্ঞান গবেষণার এই সাড়াজাগানো প্রতিবেদনটি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে নিউইয়র্ক টাইমসে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, সম্প্রতি রকি পর্বতমালার কানাডিয়ান ‘ফসিলস ফিল্ড’ বলে পরিচিত বার্গারস শেল-এ একটি ৫০ কোটি বছরের পুরোনো ফসিলটি খুঁজে পান বিজ্ঞানীরা। দেখতে হুবহু ডুবোজাহাজের মতোই এই ফসিলটি ভেঙে দিয়েছে জীববিজ্ঞানের অনেক পুরোনো ধ্যান-ধারণা।
খবরে বলা হয়, ফসিলটির কার্বন ডেটিং পরীক্ষার পর এটির বয়স দেখে বিজ্ঞানীরা ভাবছেন, প্রাণিবিজ্ঞানে প্রচলিত তত্ত্ব অনুযায়ী এককোষী জীবের সময়কার প্রাণিজগৎ মাথা পেলো কীভাবে?
নিউইয়র্ক টাইমসকে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ফসিলটি ৫০ কোটি বছরে পুরোনো। তবে ওই সময় এককোষী জীবের বাইরে অন্য কোনো প্রাণীর অস্তিত্ব পাওয়ার কোনো নজির নেই। আর্থ্রোপড গোত্রের জীব অডারাইয়া আলাটার মাধ্যমে মূলত প্রাগৈতিহাসিক পৃথিবীতে মাথার অস্তিত্বওয়ালা প্রাণীদের আবির্ভাব ঘটে। প্রায় ১০ কোটি বছর পূর্বে মধ্য কেমব্রিয়ান যুগে এরা পৃথিবীতে দাপিয়ে বেড়াতো।
প্রাণিবিজ্ঞানীদের ধারণা, প্রাচীন আর্থ্রোপড গোত্রে প্রাণীর শরীরে এনটেরিয়র স্কেলিরেইট নামে একটি শক্ত প্লেট থাকতো। এছাড়া এই গোত্রের প্রাণীদের দেহে থাকতো চোখের মতো কিছু অঙ্গ। যেটি স্নায়ুর সাহায্যে যুক্ত হতো মস্তিষ্কে। আধুনিক কীটপতঙ্গরা যেভাবে তাদের দৃষ্টিশক্তি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে, প্রাগৈতিহাসিক আর্থ্রোপডরা সেই পথের দিশারী বলে অভিমত দিয়েছেন প্রাণিবিজ্ঞানীরা।
উল্লেখ্য, আর্থোপডদের সর্বশেষ নমুনা পাওয়া যায় ১০ কোটি বছর পূর্বে। তবে প্রায় ৫০ কোটি বছর আগেকার প্রাণীর দেহে চোখ ও মাথা এলো কীভাবে? সেটিই এখন ভাবাচ্ছে বিজ্ঞানীদের।