দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এমন খবর শুনে যে কেও বিস্মিত হবেন সেটিই স্বাভাবিক। তবে এটি সত্য যে, লন্ডনে বিক্রি হচ্ছে বোতলজাত গো-মূত্র। লেবেল লাগানো বোতলজাত গো-মূত্র বিক্রি হচ্ছে!
বিবিসির খবরে বলা হয়, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে মাঝে-মধ্যে গো-চনা বা গো-মূত্রের নানা গুণাবলীর কথা শোনা যায়। তবে এবার খোদ লন্ডনে এই বস্তুটির ব্যবসা শুরু হয়ে গেছে। সেখানে কিছু দোকানে বোতলে ভরে রীতিমতো লেবেল লাগিয়ে গো-মূত্র বিক্রি হচ্ছে তাও আবার প্রকাশ্যে!
অনেক দোকানে, যে শেলফে পাউরুটি বিক্রি হচ্ছে সেটিরই ঠিক নিচের তাকে গো-মূত্র রয়েছে, তাতে বোতলে দাম লেখা। দোকানের কর্মকর্তারা বলেছেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকেই গো-মূত্র কিনতে আসেন। এটি তাদের ধর্মীয় আচারের সঙ্গে জড়িত। শিশু জন্মের পর যে পূজা করা হয়, তাতে ‘শুভকামনায়’ অনেকে গো-মূত্র ব্যবহার করে থাকেন বলে রীতি রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওয়াটফোর্ডে অবস্থিত হরে কৃষ্ণ মন্দির ও ভক্তিভেদান্ত মানর। বিভিন্ন ধর্মীয় স্থাপনাগুলোর ডেইরি ফার্ম রয়েছে সেখান থেকেও তারা এই ‘গো-মূত্র’ সংগ্রহ করে থাকে।
সংবাদ মাধ্যমকে মন্দিরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গৌরি দাস বলেছেন, আমরা সত্তরের দশক হতে এই গো-মূত্র প্রক্রিয়াজাত করে বিক্রি করছি। দক্ষিণ এশিয়ানদের অনেকের কাছে এর চাহিদা রয়েছে। অনেকে এটিকে পূজার কাজে ব্যবহার করে থাকে। আবার অনেকেই আবার ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করে। এমনকি কোনও জিনিস শুদ্ধ করার কাজেও অনেকেই এই গো-মূত্র ব্যবহার করে থাকে!
এই গো-মূত্রের স্বাদ কেমন? এমন এক প্রশ্নের জবাবে ওই মন্দিরের একজন সদস্য প্রদীপ বলেন, ‘স্বাদে তিতা, আমার কাছে ওষুধের মতোই মনে হয়।’
ব্রিটেনের দ্য ফুড স্ট্যান্ডার্ডস এজেন্সি বলেছে, মানুষের খাদ্য হিসেবে ব্যবহারের জন্য গরুর মূত্র বিক্রি করা অবৈধ। তবে ত্বকের ময়লা পরিষ্কার কিংবা এরকম বাহ্যিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে খাদ্য আইনে কোনো বাধা নেই।’
আর তাই দোকানিদের যুক্তি হলো, ‘মানুষের খাদ্য হিসেবে তারা এটি বিক্রি করেন না। বরং পূজারি কিংবা ভক্তদের জন্য, তাদের পূজার কাজে ব্যবহারের জন্য বিক্রি করেন।’