দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বের ক্ষমতাধর নেতাদের কর ফাঁকির তথ্য ফাঁস হওয়ায় বিশ্বজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। পানামার একটি আইনি প্রতিষ্ঠানের ১ কোটি ১০ লাখ গোপন নথি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর এই আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ফাঁস হওয়া নথিগুলো হতে জানা যাচ্ছে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান হতে শুরু করে ধনী ও ক্ষমতাবান ব্যক্তিরা বিভিন্ন কৌশলে কর ফাঁকি দিয়ে নিজেদের সম্পদকে গোপন করেছেন।
বিবিসির খবরে আরও বলা হয়, ফাঁস হওয়া নথিগুলোতে দেখা যাচ্ছে, অর্থ পাচার করতে, ট্যাক্স ফাঁকি দিতে ও বিভিন্ন রকম নিষেধাজ্ঞাকে ফাঁকি দিতে এই আইনি প্রতিষ্ঠানটি তার মক্কেলদের পরামর্শ দিয়ে আসছিল।
প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, কোনো রকম প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই গত ৪০ বছর ধরে তারা প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে আসছেন। ধনিক ও ক্ষমতাবানরা কতো কৌশলে কর ফাঁকি দিয়ে নিজেদের সম্পদ লোকচক্ষুর অন্তরালে লুকিয়ে রাখে সেইসব গোপন তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে এই ব্যাপক সংখ্যক নথি ফাঁসের ঘটনার পর।
গোপনীয়তা রক্ষাকারী হিসেবে পৃথিবীর অন্যতম প্রতিষ্ঠান মোওস্যাক ফনসেকা, এটি পানামার একটি আইনি প্রতিষ্ঠান, সেখান থেকেই মূলত সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে ১১ মিলিয়ন নথিপত্র।
এইসব ফাঁস হওয়া নথিগুলোই প্রমাণ দিচ্ছে যে, মোওস্যাক ফনসেকা তার মক্কেলদের অর্থ পাচার এবং কর আদায়ের ক্ষেত্রে আইনি পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, গত ৪০ বছর ধরে কোনো প্রকারের কোনো সমস্যা বা সংকট কিংবা নিন্দা ছাড়াই তারা এটি পরিচালনা করে আসছেন বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফাঁস হওয়া গোপনীয় এই নথি-পত্রগুলো হতে দেখা যাচ্ছে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মোট ৭২ জন বর্তমান এবং সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান তাদের নিজেদের দেশের সম্পদ লুণ্ঠন করছেন বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদের মধ্যে রয়েছেন মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক থেকে শুরু করে লিবিয়ার সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান মুয়াম্মার গাদ্দাফী, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ, চীনের সাবেক এক প্রেসিডেন্ট, পাকিস্তানের নওয়াজ শরীফের নামও রয়েছে।
এক ব্যাংকের মাধ্যমে অন্তত প্রায় বিলিয়ন ডলার অর্থ পাচারের সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং এমন কি বলিউডের খ্যাতিমান অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন, ঐশ্বরিয়া, জ্যাকি চ্যান, ফুটবলার ম্যাসির নামও রয়েছে।