দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নিজের ৮ মাসের শিশু সন্তানকে হত্যা করার জন্য আদালতে অনুমোদন চেয়েছে ভারতের এক দম্পতি! গত বৃহস্পতিবার ভারতের চিতুর জেলার এক আদালতে এই মামলাটি দায়ের করা হয়।
তবে আদালত সেই মামলা গিতুর জেলা কোর্ট বা হায়দ্রাবাদের আদালতে পাঠিয়ে দেন। নিজ শিশুকে হত্যা করতে চাওয়ার কারণ হিসেবে বলা হয়, শিশুটি অনেক অসুস্থ তবে তার সুস্থতার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন, যেটি তার মা-বাবার নিকট নেই। তাই শিশুটিকে বাঁচিয়ে রেখে যন্ত্রণায় রাখার চেয়ে মেরে ফেলে শান্তি দিতে চান তার মা-বাবা। তবে আদালত সেই মামলা অন্য আদালতে পাঠিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ৫০০০ টাকা তুলে শিশুটির মা-বাবার হাতে তুলে দেয়।
শিশুটির বাবা রামানাপ্পা একটি পাইকারি দোকানের বিক্রেতা। আর তার স্ত্রী সরস্বতী দুইজনে শিশুটিকে মেরে ফেলার জন্য নিম্ন আদালতে এই মামলা করেন। এই দম্পতির মেয়ের জন্মগত লিভারে সমস্যা রয়েছে।
রামানাপ্পা ও সরস্বতী বাথালাপুরামের রেল গেটের সামনে একটি ছোট্ট বস্তিঘরে বসবাস করেন। তারা মামলা করেছেন যে, সরকার যেনো তাদের শিশুর অসুস্থতার খরচ বহন করে কিংবা তাদের শিশুকে হত্যা করার অনুমতি দেয়। নিজ শিশুকে হত্যা করার জন্য তারা প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন।
তাদের ছোট্ট এই শিশুটি জন্মগত লিভারের একটি বিরল রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসকরা বলেছেন, তার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করতে হবে। তাতে ৫০ লাখ টাকা খরচ হবে। দেরি করলে শিশুর স্বাস্থ্যের আরও অবনতি হতে পারে বলেও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
শুধু তাই নয় অপারেশনের পর প্রায় ৬ বছর তাকে হাসপাতালেই রাখতে হবে। এতে প্রতি মাসে ৫০,০০০ টাকা করে খরচ হবে। শিশুটির বাবা জানায়, ব্যথায় শিশুটি সবসময় কাৎরাতে থাকে, চোখ দিয়ে অঝোরে পানি পড়তে থাকে। এবার তিনি উচ্চ আদালতে মামলা করে সাহায্যের জন্য প্রার্থনা জানাবেন বলে জানিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমকে।