দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতে গো-মাংস রাখার গুজবে পুলিশের নিকট হতে ছিনিয়ে নিয়ে সংখ্যালঘু দুই মুসলিম নারীকে বেধড়ক পিটিয়ে অজ্ঞান করেছে উগ্রবাদী একটি দল।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, গত মঙ্গলবার দেশটির মধ্য প্রদেশের মন্দসৌর রেলস্টেশনে এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনাটি ঘটেছে। এসময় পুলিশের ভূমিকা ছিল অনেকটা নীরব দর্শকের মতোই। তারা দোষীদের ধরেই নি, বরং নির্যাতিতা ওই দুই নারীকেই আটক করেছে।
অনলাইনে এই ঘটনার ভিডিও প্রকাশের পর বিষয়টি নিয়ে দেশটিতে দেখা দিয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া। অনলাইন অফলাইন সবখানেই এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা চলছে।
এদিকে ওই নারীদের নিকট হতে উদ্ধার করা মাংসও শেষ পর্যন্ত গরুর নয় বলে জানা গেছে। পরীক্ষায় প্রমাণ হয়েছে এটি ছিল মহিষের মাংস!
রাজ্যসভাতেও ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতারা বিরোধীদের কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছেন বলে ভারতের সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে। তবে জবাবে ঘটনার ব্যাখ্যায় তেমন কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তারা।
জানা যায় যে, পুলিশের কাছে তথ্য ছিল দুই নারী প্রচুর পরিমাণ গো-মাংস নিয়ে স্টেশনে ট্রেন ধরতে এসেছেন। গোপন সূত্রে পাওয়া ওই খবরের ভিত্তিতে দুই মুসলিম নারীকে মন্দসৌর স্টেশন হতে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। গো-মাংস বহন করার অভিযোগে ওই দুই নারীকে গ্রেফতার করার কথা জানতে পেরে এক দল লোক অতিসক্রিয় হয়ে ওঠেন। তারা পুলিশের হাত থেকে ওই দুই নারীকে কেড়ে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে।
প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে সে সময় অনেকে ওই গণপ্রহারের দৃশ্য নিজেদের মোবাইলে রেকর্ড করেন। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, গণপ্রহারকারীদের পুলিশ তেমন একটা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেনি। অন্তত আধা ঘণ্টা ধরে প্রবল মারধরের পর এক নারী প্রায় অচেতন হয়ে পড়ে যান। তারপর মার থামে। পুলিশের নির্লিপ্ততায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।