দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষ শখ করে শরীরের বিভিন্ন অংশে ট্যাটু লাগান। কিন্তু এক বৈদ্যুতিক ট্যাটু এবার মাংসপেশীর কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করবে!
এই ট্যাটু লাগানো অনেকের অন্যতম প্রিয় একটি শখ। তবে অনেকেই আবার কৌতুহলী হয়ে কিংবা ঝোঁকে পড়ে এই কাজটি করে থাকেন। তবে এটি এখন থেকে শরীরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ছাড়াও মানুষের উপকারেও ব্যবহার করা যাবে!
সম্প্রতি গবেষকরা এমন এক ধরনের নমনীয় ইলেকট্রোড কিংবা তড়িৎদ্বার তৈরি করেছেন, যেটি শরীরের যে কোনো অংশে স্বল্প সময়ের জন্য ট্যাটু হিসেবে লাগানো যাবে। ট্যাটু সদৃশ তড়িৎদ্বার ত্বক হতে এটি বৈদ্যুতিক সঙ্কেত নির্ণয় করতে সক্ষম। যে কারণে দেহের মাংসপেশীর সঙ্কোচন-প্রসারণসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বিশদভাবে জানা সম্ভব হবে বলে গবেষকরা মনে করছেন।
তড়িৎদ্বারটির মূল বিশেষত্ব হলো, এটি অত্যাধিক পুরু। যে কারণে গঠনগত কারণে এটি শরীরের ত্বকের সঙ্গে সহজেই লেগে থাকে। এমনকি খালি চোখে এটিকে ত্বক হতে পৃথক করা যায় না। মূলত এই ট্যাটুটি কার্বনের তড়িৎদ্বার দিয়ে তৈরি। এছাড়া এতে এক ধরনের আঠালো পৃষ্ঠ রয়েছে যা একে ত্বকের চামড়ার সঙ্গে দৃঢ়ভাবে আটকে থাকতে সাহায্য করে। পুরো অংশটিই এক ধরনের তড়িৎ পরিবাহী পলিমার দ্বারা আবৃত থাকে।
এ ধরনের বৈদ্যুতিক তড়িৎদ্বার দিয়ে অনেক কাজ করা সম্ভব। এর সাহায্যে মুখমন্ডলের অভিব্যক্তির উপর ভিত্তি করে মানুষের অনুভূতি নির্ণয় করা যেতে পারে। আবার মস্তিষ্কের বিকৃতিজনিত রোগের গবেষণায় এবং কৃত্রিম অঙ্গের নিয়ন্ত্রণে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
প্রকল্পটির গবেষক,তড়িৎ প্রকৌশলী ইয়ায়েল হানেয়িন মাংসপেশীর দৃঢ়তা এবং বিকৃতিজনিত নিউরোরোগ পারকিনসন’স ডিজিজ নির্ণয়ে এই ট্যাটু ব্যবহারের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছেন।