দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তথাকথিত ‘গো রক্ষা’ কমিটির সদস্যদের ‘সমাজবিরোধী শক্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, মোদি বলেছেন, রাতের অপরাধ আড়াল করতে এসব দুর্বৃত্ত দিনের বেলা গো-রক্ষার মুখোশ পরে।
ভারতে উগ্র হিন্দুদের নিয়ে গঠিত গো-রক্ষা কমিটি সাম্প্রতিক সময়ে গরু জবাই কিংবা গরুর মাংস বহনের দায়ে বহু মানুষকে নির্যাতন করেছে। মুসলিমদের পাশাপাশি দলিত হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকরাও তাদের নিপীড়ন হতে রেহায় পায়নি।
ক্ষমতা গ্রহণের দ্বিতীয় বার্ষিকীতে গত শনিবার নয়াদিল্লিতে প্রথমবারের মতো আয়োজিত জনগণের সরাসরি প্রশ্নের জবাবে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘গরু রক্ষা ব্যবসায় জড়িতদের ওপর আমি ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ। গরুভক্তি ভিন্ন একটি জিনিস। গরু সেবাও ভিন্ন। আমি দেখেছি, কিছু লোক সারারাত অপরাধ করে বেড়ায় আর দিনের বেলায় তারা আবার গরু রক্ষকের বেশ ধরে। এদের বেশির ভাগই সমাজবিরোধী, যারা প্রকৃতপক্ষে গরু রক্ষার মুখোশ পরে রয়েছে।’
হিন্দু জাতীয়তাবাদী নেতা মোদি ক্ষমতায় আসার পর হতে ভারতের কয়েকটি রাজ্যে গরুর মাংস নিয়ে সহিংসতা দেখা দিলেও মোদি এক্ষেত্রে কার্যত: নীরব থাকার নীতি গ্রহণ করেন। তবে দেশটির বহু শিক্ষাবিদ এবং যুক্তরাষ্ট্রও গরু নিয়ে ভারতীয়দের একাংশের অসহিষ্ণুতার কড়া সমালোচনা করেছে।
নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, তিনি বিভিন্ন রাজ্যকে এই তথাকথিত গরু রক্ষার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলবেন।
মৃত গরুর চামড়া খোলার অভিযোগে ১১ জুলাই মোদির রাজ্য গুজরাটে চার দলিতকে বিবস্ত্র করে পথে হাঁটায় সেখানকার গো-রক্ষা কমিটির সদস্যরা। এরপর তাদের ভিডিও ধারণ করে অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার প্রতিবাদে গুজরাটে দলিত সম্প্রদায় ব্যাপক আন্দোলন শুরু করে। গরুর মাংস রাখার মিথ্যা অভিযোগে গত বছর উত্তরপ্রদেশে এক প্রবীণ মুসলিমকে নির্মমভাবে হত্যা করে গরু রক্ষকরা!