দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ ১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস। বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কের কালিমালিপ্ত দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কতিপয় চক্রান্তকারী সেনাসদস্যরা সপরিবারের নির্মমভাবে হত্যা করে।
বাংলাদেশের ইতিহাসের নৃশংসতম ও মর্মস্পর্শী সেই হত্যাকাণ্ডের আজ ৪১তম বার্ষিকী। রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নারী এমন কি শিশুরাও সেদিন রেহায় পায়নি ঘাতকদের হাত থেকে। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এ্যাডভোকেট মো: আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। পুরো জাতি আজকের এই শোকাবহ দিনটিকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে।
অতীতে নানা রকম বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে ১৫ আগস্ট পালিত হলেও বর্তমান পরিস্থিতি ভীন্ন। আদালতের রায়ে গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সাল হতে সরকারিভাবে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট ক্ষমতায় আসার পর ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস বাতিল করেছিল। পরে আওয়ামীলীগ তথা মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করে এবং এই দিনটিকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়াও ঘাতকের বুলেট সেদিন কেড়ে নিয়েছিল তাঁর স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশুছেলে শেখ রাসেল, পুত্রবধু সুলতানা কামাল, রোজী জামাল, ভাই শেখ আবু নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি ও বঙ্গবন্ধুর জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা কর্ণেল জামিলের প্রাণ। দেশের বাইরে থাকায় ঘাতক চক্রের হাত হতে সেদিন বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
জাতির জনকের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামীলীগ ও অংগ সংগঠনগুলো দিনব্যাপি কোরআন খানি, স্মরণসভা এবং আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।