দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের দেশে এখনও কিছু কিছু ঘটনা দেখা যায় স্বামীর অত্যাচারের। তবে স্পেনের মতো একটি রাষ্ট্রেও এমন সমস্যা বিদ্যমান। তাই সেখানে স্ত্রীরা কুকুরের সাহায্য নিচ্ছেন স্বামীর অত্যাচার হতে বাঁচতে!
সংবাদ দমাধ্যমের খবরে জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে স্পেনের সমকালীন সমাজে পারিবারিক অশান্তি বিশেষ করে স্ত্রীর প্রতি স্বামীর অত্যাচার বেড়ে চলেছে। দেশটির অন্তত ১৩ শতাংশ বিবাহিত নারী এই ধরনের সমস্যায় ভুগছেন। সবক্ষেত্রে নারীদের পক্ষে পুলিশের কাছে যাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই স্প্যানিশ স্ত্রীরা ঘরে অশান্তি রুখতে অভিনব এক পন্থা বেছে নিয়েছেন। স্বামীর গালমন্দ, মারধর আর লাঞ্ছনা রুখতে তারা ঘরে পালন করছেন বিশেষ উপকারী এক বন্ধুকে, আর তা হলো কুকুর। কোনো গড়বড় দেখলেই সেই বন্ধু ঝাঁপিয়ে পড়বে স্বামীর ওপর! ক্ষত-বিক্ষত করবে ‘অত্যাচারী’ স্বামীকে!
নির্যাতনের হাত হতে নিজেদের বাঁচাতে স্পেনের স্ত্রীরা তাই রক্ষাকারী বন্ধু হিসেবে কুকুর কিনতে আগ্রহী হয়ে পড়ছেন। যে কারণে বাড়ছে কুকুর বিক্রি।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, ইতিমধ্যে এই কুকুর কেনার ধুম পড়ে গেছে স্পেনে! নিজের প্রভুকে রক্ষায় সদা তৎপর এই কুকুর। মদ্যপ বা রগচটা স্বামী তার স্ত্রীকে মারতে এলেই তার রক্ষা নাই, বিশেষ প্রশিক্ষিত কুকুর ভয়ানকভাবে আক্রমণ করে তার প্রভুকে রক্ষা করবে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, নারীর কাছে যে কুকুর বিক্রি করা হবে, সেই কুকুরকে অন্তত ২০০ ঘণ্টা ট্রেনিং করানো হবে। যাতে করে প্রভুকে খুব ভালো করে চিনতে পারে এবং তার বিপদ বুঝে তাকে রক্ষাও করতে পারে।
তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো একটি সুন্দর দেখে কুকুর কিনলেন স্প্যানিশ স্ত্রী। অথচ কেও জানতে পারলেন না যে তিনি গোপনে অন্তত ২০০ ঘণ্টা সেই কুকুরের সঙ্গে ট্রেনিং করেছেন। তার একটি ইশারাতেই আক্রমণকারীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রস্তুত সেই কুকুরটি। তার আঁচড়, কামড়ে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যাবে বউ পেটানো স্বামীটির!
জানা গেছে, কুকুর বিক্রির এই বিষয়টি প্রচার হওয়ার পর বর্তমানে স্পেনে কুকুরের ভয়ে কুঁকড়ে থাকছেন রগচটা, নেশাখোর স্প্যানিশ স্বামীরা। আগে যারা মনের সুখে বউকে পেটাতেন, এখন বউ পেটাতে গিয়ে হাজার বার ভাবতে হচ্ছে!