দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাম্প্রতিক সময় ইয়েমেনে ভয়াবহ পুষ্টিহীনতার শিকার হচ্ছে শিশুরা। সেখানে প্রায় ৪ লাখ শিশু ক্ষুধায় পীড়িত। প্রতি ১০ মিনিটে মারা যাচ্ছে একটি শিশু।
ইয়েমেনের এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা উদ্বিগ্ন। সেখানে জরুরি ভিত্তিতে ২২ লাখ শিশুর পরিচর্যা প্রয়োজন। ক্ষুধা ও পুষ্টিহীনতার কারণে সেখানে প্রতি ১০ মিনিটে মারা যাচ্ছে একজন শিশু। ইয়েমেনে যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে ক্ষুধার্ত শিশুর পরিমাণ মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রকট পুষ্টি¯স্বল্পতায় ভুগছে দেশটির অন্তত ৪ লাখ ৬২ হাজার শিশু। এই হিসাবটি ২০১৪ সালের তুলনায় ২শ’ শতাংশ বেশি।
গত সোমবার ইউনিসেফের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অপুষ্টি, ডায়রিয়া এবং শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ইয়েমেনে প্রতি ১০ মিনিটে একটি শিশু মারা যাচ্ছে।
ইয়েমেনে ইউনিসেফের ভারপ্রাপ্ত প্রতিনিধি মেরিটএক্সেল রেলানো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে দরিদ্র এই দেশে শিশু স্বাস্থ্যে বর্তমানে যে ধরনের বিপর্যয় দেখা দিয়েছে, তা এর আগে কখনও দেখা যায়নি। যেকোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে ইয়েমেনে অপুষ্ট শিশুর সংখ্যা অনেক বেশি।’
ইয়েমেনি শিশুদের মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো চরম পুষ্টিহীনতা। বিশেষ করে ৫ বছর বয়সের নিচে শিশুরা মারা যাচ্ছে বেশি। তা ছাড়া উচ্চতার তুলনায় তাদের ওজনও অনেক কম।
অধিকাংশ শিশুই হাড্ডিসার অবস্থায় বেঁচে আছে। ইয়েমেনে সবচেয়ে বিধ্বংসী বোমা হামলা হয়েছে সাদা অঞ্চলে। যে কারণে সাদা অঞ্চলের শিশুদের বৃদ্ধির হার বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে কম। প্রতি ১০ জনের ৮ জন শিশুই বয়সের তুলনায় বাড়ছে না।